মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য পরিবারকে চাপ দিচ্ছিল মকবুল (১৫)। না দেওয়ায় ক্ষোভে নিজের হাত কাটতেও গিয়েছিল একবার। বাধ্য হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে একটি আরটিআর মোটরসাইকেল কিনে দেয় পরিবার। সেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাতেই প্রাণ গেল মকবুল ও দুই বন্ধুর। 

শুক্রবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার রুহলী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় দুমড়ে-মুচড়ে যায় মোটরসাইকেলটি। 

নিহতরা হ‌চ্ছে- উপ‌জেলার রুহলী গ্রা‌মের বা‌ছে‌দের ছে‌লে মকবুল হো‌সেন (১৫), একই উপ‌জেলার মা‌টিকাটা এলাকার ইলিয়াসের ছে‌লে রা‌কিব (১৬) ও একই এলাকার মৃত রশি‌দের ছে‌লে আসাদুল (১৬)। তিন বন্ধুই পরিবহন শ্রমিক ছিল। 

ভূঞাপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওহাব মিয়া ব‌লেন, মোটরসাই‌কেল নিয়ন্ত্রণ হা‌রিয়ে ওই তিন কি‌শো‌রের মৃত্যু হ‌য়েছে। তারা প‌রিবহন শ্রমিক ব‌লে জানা গে‌ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মকবুলকে গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন একটি মোটরসাইকেল কিনে দেয় পরিবার। সেই মোটরসাইকেলে বন্ধুদের নিয়ে শুক্রবার ঘুরতে বের হয় মকবুল। নতুন মোটরসাইকেল চালাতে নিষেধ করলেও শোনেনি সে। আজ দুপুরে মকবুল তার দুই বন্ধু রাকিব ও আসাদুলকে নিয়ে ঘুরতে যায়। মোটরসাইকেলটি কষ্টাপাড়া-রুহলী সড়কের রুহলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বালুতে স্লিপ করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দেয়ালে সজোরে ধাক্কা লাগে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মকবুলের স্বজনরা জানান, মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় নিজের হাত কেটে ফেলতে চেয়েছিল সে। বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার তাকে একটি মোটরসাইকেল কিনে দেওয়া হয়। মোটরসাইকেল নেওয়ার আগে তাকে বার বার নিষেধ করা হয়েছিল। কিন্তু কারও কথা না শুনে তার দুই বন্ধুকে নিয়ে ঘুরতে বেরিয়ে লাশ হয়ে ফিরল মকবুল।

ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওহাব মিয়া বলেন, ওই তিন কিশোর একটি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিল। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দেয়ালে ধাক্কা লেগে তিনজনই নিহত হয়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। 

অভিজিৎ ঘোষ/আরআই/আরএআর