সিলেটে শাপলার রাজ্য বললেই নাম চলে আসে ডিবির হাওরের। এ হাওরের অবস্থান জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নে। হাওরটি বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তবর্তী মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশে হওয়ায় দিন দিন পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থানে পরিণত হচ্ছে। 

জানা গেছে, প্রতি বছর শরতের শেষ দিকে এই বিলে শাপলা ফুটতে দেখা যায়। এক সপ্তাহ ধরে নতুন ফুল ফোটায় পর্যটক বাড়ছে।পর্যটকদের জন্য স্থানীয়ভাবে স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত করা হয়েছে। বিলটি সংরক্ষণের জন্য স্থানীয়দের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটিও আছে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে হাওর ঘুরে কাছ থেকে লাল শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য রয়েছে নৌকার ব্যবস্থা।

করোনা মহামারির কারণে গত বছর এ সময়ে ডিবির হাওরে খুব একটা পর্যটক না এলেও এ বছর অনেক মানুষের সমাগম হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ট্যুর অপারেটররা। ট্রাভেলার্স অব সিলেটের অ্যাডমিন শফি মোহাম্মদ বলেন, এ বছর রেকর্ড সংখ্যক মানুষ এখানে  ঘুরতে আসবে। এ সময় তিনি পর্যটকদের সুবিধার জন্য মূল সড়ক থেকে স্পটে আসার একমাত্র রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

স্থানীয়দের নিয়ে গঠিত ডিবির হাওর সংরক্ষণ কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যানেজার নজরুল হোসেন বলেন, প্রতি বছরের মতো এবারও আমরা পর্যটকদের বরণ করার অপেক্ষায় আছি। আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে ভ্রমণপিপাসুদের সেবা দিয়ে যাব।

পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমদ বলেন, ডিবির হাওরে সবসময় আমাদের টহল টিম থাকে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় আমরা সদা তৎপর আছি।

যেভাবে যাবেন ডিবির হাওরে 

সিলেট নগরীর সোবহানীঘাট থেকে জাফলংগামী বাসে করে যাওয়া যাবে জৈন্তাপুর বাজারে। সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত টমটম বা সিএনজিচালিত অটোরিকশা দিয়ে সরাসরি বিলে যাওয়া যাবে। সময় লাগবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। বাসের ভাড়া জন প্রতি ৭০ টাকা আর টমটম বা সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভাড়া জৈন্তাপুর বাজার থেকে ২০ টাকা করে।

এছাড়াও সিলেট নগরী থেকে সরাসরি বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা অথবা লেগুনা রিজার্ভ করেও যাওয়া যাবে ডিবির হাওরে। আর হাওরে নৌকা নিয়ে ঘুরতে হলে এক ঘণ্টার জন্য খরচ করতে হবে ৪০০ টাকা।

এসপি