নেত্রকোনা শহরে হিমু পাঠক আড্ডার বর্ণাঢ্য আনন্দ শোভাযাত্রা

নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে নেত্রকোনায় পালিত হচ্ছে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭৩তম জন্মদিন। শনিবার (১৩ নভেম্বর) সকালে জেলা শহর ও হুমায়ূন আহমেদের পৈত্রিক নিবাস কেন্দুয়ায় জন্মদিনের কেক কাটা, শোভাযাত্রা, সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে স্থানীয় কয়েকটি সংগঠন।

এছাড়া কেন্দুয়া উপজেলার নিজ গ্রাম কুতুবপুরে হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠও প্রতি বছরের মতো এবারও বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে হুমায়ূন আহমেদের জন্মবার্ষিকী পালন করছে।

৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে জেলা শহরে বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করেছে হিমু পাঠক আড্ডা নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সকালে জন্মদিনের কেক কেটে এসব কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান।

এ সময় নেত্রকোনা পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান ও হিমু পাঠক আড্ডার প্রতিষ্ঠাতা আলপনা বেগমসহ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে আনন্দ শোভাযাত্রায় হলুদ পাঞ্জাবী ও শাড়ি পরে হিমু-রূপা সেজে অংশ নেন হিমু পাঠক আড্ডার তরুণ-তরুণীরা।

হিমু পাঠক আড্ডার প্রতিষ্ঠাতা আলপনা বেগম জানান, আমরা প্রতি বছরই হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ও মৃত্যু দিবস পালন করে আসছি। এ বছরও করছি। হিমু পাঠক আড্ডার মূল উদ্দেশ্যই হল এলাকার তরুণ-তরুণীদের সাহিত্য সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডসহ নানা রকম ভালো কাজে সম্পৃক্ত করা।

তিনি বলেন, এ বছর আমরা কেক কাটা, আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছি। এরই মধ্যে কেক কাটা ও আনন্দ শোভাযাত্রা শেষ হয়েছে। বিকেলে সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। সভায় অধ্যাপক যতীন সরকার, জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমানসহ স্থানীয় গুণীজনরা অংশগ্রহণ করবেন।

এদিকে হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত তার স্বপ্নের স্কুল কেন্দুয়া উপজেলার নিজ গ্রাম কুতুবপুরের শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠের উদ্যোগেও নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, স্যারের ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা নানা কর্মসূচি পালন করছি।

এছাড়া সন্ধ্যায় কেন্দুয়া উপজেলা শহরে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি সংসদ এবং চর্চা সাহিত্য আড্ডা নামে দুটি সংগঠন।

হুমায়ূন আহমেদ স্মৃতি সংসদের সভাপতি মজিবুর রহমান ও চর্চা সাহিত্য আড্ডার সমন্বয়কারী রহমান জীবন জানান, আমরা প্রতি বছরই হুমায়ূন আহমেদের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালন করে থাকি। কারণ হুমায়ূন আহমেদ আমাদের অহংকার।

জিয়াউর রহমান/এমএসআর