মামলা পরিচালনা করতে জেলা আইনজীবী সমিতি কর্তৃক আমি কোনো সহযোগিতা পাচ্ছি না। কোনো আইনজীবী আমাদের হয়ে মামলা লড়ছেন না। এ কারণে আমি ও আমার পরিবার চরম হতাশা, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করছি। সোমবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে শেরপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য আল-আমীন খান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আল-আমীন বলেন, শেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট শাহনুর রহমান রুবেল আমার মায়ের মামাতো ভাইয়ের সঙ্গে আমাদের একটি মামলা শেরপুর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতে চলমান। ওই মামলায় উপরোক্ত জমির ওপর ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট থেকে আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বিদ্যমান।

আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা পরও ২০১৯ সালের ২ সেপ্টম্বরে উক্ত জমির ২৭ শতাংশ জমি থেকে রুবেল ৯ শতাংশ জমি অন্য ওয়ারিশের কাছ থেকে দলিল করে নেন। এরপর সেই জমি জবরদখলের চেষ্টা করেন। জানতে পেরে আমরা সেখানে প্রতিরোধ করতে গেলে রুবেল আমাদের ওপর হামলা চালান। এ ঘটনায় আমরা তার বিরুদ্ধে চলতি বছরের ৩০ মে জিআর মামলা করি। পরে রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের আসামি করে আদালতে ৮ আগস্ট মামলা করেন।

গত ২৪ আগস্ট হাজিরা দিতে গেলে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে আমি কোনো সহযোগিতা পাইনি। মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী পেতে হলে রুবেলের সঙ্গে জমিজমা বিষয়ে আপস করতে হবে বলে জানায় আইনজীবী সমিতি।

আইনজীবী না পেয়ে সঠিক সময়ে হাজিরা দিতে না পারায় আমাদের নামে ওয়ারেন্ট জারি হয়। এরপর আমি নিজেই জামিন শুনানির আবেদন করলে আদালত আমাকে জামিন শুনানি করার অনুমতি দেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আমাদের জামিন মঞ্জুর করলে সব আইনজীবী কোর্ট বর্জন করেন। একই সঙ্গে অনির্দিষ্টকালের জন্য কোর্ট বর্জনের ঘোষণা দেন।

এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকলেছুর রহমান আকন্দ ঢাকা পোস্টকে জানান, আইনজীবী চেয়ে দরখাস্ত আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। যদি লিখিত আবেদন পাই, তাহলে অবশ্যই তাদের আইনজীবী নিয়োগে সহযোগিতা করা হবে। তারা পছন্দ অনুযায়ী যে এডভোকেট চাইবেন, আমরা তাদের সেই আইনজীবী দেব।

কোর্ট বর্জনের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা জেলা বারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে কোনো বিষয় নিয়ে কোর্ট বর্জন করা হয়নি।

জাহিদুল খান সৌরভ/এনএ