রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর বাসিন্দা নারী নেত্রী মুক্তি মহিলা সমিতির সহ-সভাপতি ও যৌনকর্মী লিলি বেগম (৩৮) গত ৬ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। তিনি দৌলতদিয়ার পূর্ব পাড়া এলাকার বাসিন্দা।

এ ঘটনায় গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি জিডি করেছে তার ভাগনে শাফি ইসলাম। এ ছাড়াও তাকে উদ্ধারে সহযোগিতা চেয়ে মুক্তি মহিলা সমিতির পক্ষ হতে সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম লিখিতভাবে রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। 

নিখোঁজ যৌনকর্মী লিলি বেগম যৌনপল্লীর নারী ও শিশুদের অধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা সংগঠন 'মুক্তি মহিলা সমিতি'র (এমএমএস) কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।

জিডি সূত্রে জানা গেছে, লিলি বেগম গত ১০ নভেম্বর তার কথিত স্বামী দৌলতদিয়ার সামসু মাস্টার পাড়ার বাসিন্দা লতিফের বাড়িতে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে দুপুরে বাড়ি থেকে বের হন। ওই দিন বিকেলে লিলি বেগম বাড়িতে না ফেরায় তার বাড়ির ভাড়াটিয়া পুষ্প ও ঝর্ণা মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু লিলির মোবাইল বন্ধ পেয়ে তার স্বজনদের নিকট বিষয়টি জানান। স্বজনরাও নানাভাবে খোঁজ করে ব্যার্থ হন। যে কারণে লিলির বোনের ছেলে মো. শফি ইসলাম ১৫ নভেম্বর (শুক্রবার) এ বিষয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

এ বিষয়ে নিখোঁজের কথিত স্বামী লতিফ শেখ বলেন, লিলির সাথে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্কের সুবাদে সে আমার বাড়ীতে দাওয়াত খেতে আসে। খাবার শেষে সে চলে যেতে চাইলে আমার ছেলেকে দিয়ে তাকে রিক্সায় উঠিয়ে দেই। এরপর থেকে আমার সাথেও তার কোনো যোগাযোগ হয়নি।

এ প্রসঙ্গে মুক্তি মহিলা সমিতির নির্বাহী পরিচালক মর্জিনা বেগম বলেন, লিলি বেগম নারী ও শিশুর অধিকার নিয়ে পল্লীতে কাজ করতেন। তিনি খুব ভালো মানুষ ছিলেন। ভালো কাজ করার জন্য হয়তো তার শত্রুও বেড়ে গিয়েছিল। এভাবে তার নিখোঁজ হওয়ায় আমরা অনেক ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। তাকে উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিখোঁজ লিলি বেগমকে উদ্ধারে আমরা প্রযুক্তির ব্যবহারসহ সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি। এ ছাড়া নিখোঁজ হওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

মীর সামসুজ্জামান/আরআই