পাবনার ভাঙ্গুড়ায় মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে ফারুক হোসেন (১৯) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় দেন। 

নিহত ফারুক হোসেন ভাঙ্গুড়া উপজেলার চৌবাড়িয়া ভদ্রপাড়া মহল্লার সাইদুল ইসলামের ছেলে।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ভাঙ্গুড়া পৌরসভার চৌবাড়িয়া এলাকার সুধির চৌকিদারের ছেলে প্রভাস চন্দ্র দাস (১৮), শাহজাহান আলীর ছেলে শাহিন হোসেন (২১), ইব্রাহিম আলীর ছেলে শফিকুল ইসলাম (২১), মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২০), শরৎনগরের শ্রী মন্তোষের ছেলে প্রিন্স (২০), চরভাঙ্গুড়ার হাফিজুর ওরফে হাফেজের ছেলে ফরিদ আহমেদ (২২), বিলকিস বেগম ( ৪০), চৌবাড়িয়া গ্রামের ছন্নত আলীর ছেলে দুলাল হোসেন (২০), চরভাঙ্গুড়ার ইসহাক আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২২) ও চৌবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল করিম (৪৫)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট রাত ১১টার দিকে বেড়ানোর কথা বলে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে তাকে হত্যা করে একটি পুকুরে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান আসামিরা। পরিবার অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। পরে থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক সপ্তাহ পর ভাঙ্গুড়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ওসমান আলীর পুকুরে কচুরিপানার মধ্যে মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। পুলিশ সেখান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে। 

পরদিন ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে ১৮-২০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে নিহতের মাতা আনোয়ারা খাতুন  থানায় মামলা করেন। পুলিশ ফোনের কললিস্ট ধরে তদন্ত করে সবাইকে গ্রেফতার করেন। দীর্ঘ শুনানির পর আজ আদালত হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। 

আসামিপক্ষের আইনজীবী একেএম শামসুল হুদা ও এসএম ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখান থেকে দণ্ডপ্রাপ্তরা নিরপরাধ হিসেবে খালাস পাবেন বলে আশা করছি। 

তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এই মামলায় হত্যা প্রমাণিত হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এখানে সাজা কমার কোনো সুযোগ নেই। 

রাকিব হাসনাত/আরএআর