নেত্রকোনা পৌরসভার নাগড়া এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে দুই বছরের শিশুপুত্রসহ এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ব্যক্তিরা হলো আবদুল কাইয়ুম (৩২) ও তার দুই বছরের ছেলে আহনাব শাকিল। আবদুল কাইয়ুম কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরের খামার গ্রামের আক্কাস সরদারের ছেলে। তিনি নেত্রকোনায় ওষুধ প্রশাসনে চাকরি করতেন এবং শহরের নাগড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী সন্তানসহ বসবাস করছিলেন।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল।

তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে সন্তানকে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলে আবদুল কাইয়ুম নিজেও আত্মহত্যা করেন। ময়না তদন্তের জন্য দুজনের লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরের খামার গ্রামের আক্কাস সরদারের ছেলে আব্দুল কাইয়ূম। তিনি নেত্রকোনায় ঔষধ প্রশাসনে চাকরি করতেন এবং শহরের নাগড়া এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ বসবাস করে আসছিলেন।

আবদুল কাইয়ূমের স্ত্রী সালমা আক্তার জানান, নেত্রকোনা পৌরসভার নাগড়া এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সড়কের রুহুল আমীনের বাসার চতুর্থ তলায় প্রায় সাত বছর ধরে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। প্রতিদিনের মতো বুধবার রাতের খাবার খেয়ে রাত ১টার দিকে তারা একই কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। পরে ভোর ৫টার দিকে উঠে পাশের রুমে স্বামী ও সন্তানের ঝুলন্ত মরদেহ দেখেন তিনি। পরে তিনি তাদের মরদেহ নামান। এরপর বিষয়টি এলাকাবাসীকে জানান। ঘটনা শুনে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

এদিকে ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে আবদুল কাইয়ূমের স্ত্রী সালমা আক্তারকে (১৯) জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

জিয়াউর রহমান/এনএ