সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মল্লিকপুর এলাকায় দুই শিক্ষার্থীর দেখা। একজনের কাছে হিরো হোন্ডা কোম্পানির ও আরেকজনের কাছে রয়েছে বাজাজ কোম্পানির ডিসকভার মোটরসাইকেল। দুজনেই আব্দুজ জহুর সেতুর নিচের সড়কে বাইকের দৌড় প্রতিযোগিতায় মেতেছে।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকালে এমন চিত্র দেখা গেছে। দুই শিক্ষার্থীর নাম মো. এমদাদুল হক ও ফাহিদ নুর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা একজন এইচএমপি স্কুলের অষ্টম শ্রেণি এবং আরেকজন একই প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। শিশু বয়সেও মোটরসাইকেল নিয়ে আঞ্চলিক মহাসড়কে কেন, এমন প্রশ্ন ছিল তাদের কাছে। তারা বলছে, পরিবারের সম্মতিতেই তারা মোটরসাইকেল নিয়ে সড়কে বের হয়েছে।

এইচএমপি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী এমদাদুল হক বলে, আমার বাসা পৌর শহরের কালীপুরে। দুই বছর হয়েছে মোটরসাইকেল চালানো শিখেছি। এই গাড়ি আমার বাবার। আমার ছোট বোনকে মল্লিকপুর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিয়ে এসেছি। প্রতিদিনই বোনকে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমার বাবা মোটরসাইকেল দেন।

শিক্ষার্থী এমদাদুল হকের মা শামিমা বেগম বলেন, গেল দুই বছর ধরে বাইক চালায়। কোনো সমস্যা হয় না। আমার ছোট মেয়ে চাঁদনীকে সকালে বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়। অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীর হাতে বাইক দিয়ে সড়কে পাঠানো ঠিক হলো কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো সমস্যা হয় না। সে পুরোদমে বাইক চালাতে পারে। এক দিন আমাকে নিয়ে শিমুল-বাগানে ঘুরতে গিয়েছিল।

সাইদুর রহমান আসাদ/এনএ