খান হাবিবুর রহমান

নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে বরাদ্দকৃত সরকারি প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের নামে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে দুদকের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন। এই দুই মামলায় পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান, সাবেক সচিব মো. রেজাউল করিমসহ ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।

দুদকের খুলনা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে উপ-পরিচালক নাজমুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাগেরহাট পৌরসভার পাম্প চালক পদে কোনোরূপ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধি না মেনে পাম্প অপারেটর হিসেবে দিপু দাসসহ মোট ১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত মোট এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা আত্মসাৎ করা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন-  দিপু দাস (পাম্প অপারেটর), আসাদুজ্জামান (বাজার শাখার আদায়কারী), জ্যোতি দেবনাথ (সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক), মারুফ বিল্লাহ (সহকারী কর আদায়কারী), বালী শফিকুল ইসলাম (সহকারী কর আদায়কারী), শারমিন আক্তার বনানী (বিল ক্লার্ক, পানি শাখা), মো. হাচান মাঝি (ট্রাক চালক), হাসনা আক্তার (সুইপার সুপারভাইজার), মো. জিলানী (সুইপার সুপারভাইজার), তানিয়া (এমএলএসএস), অর্পূব কুমার পাল (পাম্প চালক), নিতাই চন্দ্র সাহা (পাম্প চালক), মোহাম্মদ মেহেদী হাসান (সহকারী পাম্প চালক), মো. সৌদি করিম (সহকারী কর আদায়কারী), সাব্বির মাহমুদ (সহকারী কর আদায়কারী), পারভিন আক্তার (সহকারী কর আদায়কারী) ও সেতু পাল পূজা (হেলথ ভিজিটর)। তারা সবাই পৌরসভার সাবেক কর্মী ছিলেন।

একই বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমানসহ দুইজনের নামে এক কোটি টাকা প্রকল্পের কাজ না করে আত্মসাৎ করার অভিযোগে পৃথক আরও একটি মামলা করেন।

এই মামলার এজাহারে বলা হয়, বাগেরহাট ডায়াবেটিকস হাসপাতাল এবং আবাহনী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ বাবদ দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পৌর মেয়র এই নির্মাণ কাজ না করেই দুই কোটি টাকা হতে এক কোটি টাকা উঠিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেন। পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান এবং পৌরসভার সাবেক সচিব বর্তমানে মাগুরা পৌর সভার সচিব মো. রেজাউল করিমের নামে এ মামলা করা হয়।

মোহাম্মদ মিলন/আরএআর