কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় ব্যান্ড পার্টি ভাড়া করে বাজনা বাজিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নওশের আলী। এ সময় তার সঙ্গে শত শত নেতাকর্মী ছিলেন।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। ভোটের মাঠ উত্তপ্ত করার লক্ষ্যেই এমন কাজ করেছে চেয়ারম্যান নওশের আলী এমনটাই জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। ভোটের মাঠ উত্তপ্ত করার লক্ষ্যেই এমন কাজ করেছে চেয়ারম্যান নওশের আলী এমনটাই জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। 
 
নির্বাচনের আচরণবিধিতে উল্লেখ রয়েছে, কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময় মিছিল বা কোনো প্রকার শোডাউন করতে পারবে না এবং পাঁচজনের বেশি লোক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং জমা দিতে পারবে না। কিন্তু নওশের আলী নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে শত শত নেতাকর্মী ও ব্যান্ড পার্টি সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দেয়।

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নন্দলালপুর ইউনিয়ন পরিষদের নৌকার প্রার্থী নওশের আলী।

জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বর্তমান নন্দলাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও এবারের নৌকার প্রার্থী নওশের আলী শত শত নেতাকর্মী ও ব্যান্ড পার্টি সঙ্গে গাড়িবহর নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে যান। এ সময় তার সঙ্গে শত শত নেতাকর্মী ছিল।

এবার নওশের আলীর বিপক্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান খোকন। তিনি বলেন, নৌকার প্রার্থী নওশের আলী আজ সকালে শত শত নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে ব্যান্ড পার্টির বাজনা বাজিয়ে মিছিল দিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যায়। যাওয়ার সময় আমার সমর্থকদের হাত-পা ভেঙে দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে নির্বাচন করলে সমস্যা হবে বলে হুমকি দিয়ে রাখেন।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে নৌকার প্রার্থী নওশের আলীকে মুঠোফোনে ফোন দিলে তিনি বলেন, আমি নির্বাচন নিয়ে এখন ব্যস্ত আছি। এখন কথা বলতে পারব না।

নির্বাচন কর্মকর্তা শিরিনা আক্তার বানু জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে চেয়ারম্যান নওশের আলী নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। কিন্তু অফিসের বাইরে কত লোক ছিল, তা আমার জানা নেই। সাংবাদিকদের মাধ্যমে জানতে পারলাম যদি ঘটনা সত্য হয়, তাহলে তিনি অবশ্যই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

রাজু আহমেদ/এনএ