ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের ফলাফল পরিবর্তনের অভিযোগ তুলে পুনরায় ভোটগ্রহণের দাবি জানিয়েছেন পরাজিত প্রার্থী কিরণ মিয়া। তিনি গোয়ালনগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। 

বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান কিরণ মিয়া।

গত ১১ নভেম্বর গোয়ালনগর ইউনিয়নসহ নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বাকি ৭টিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জয়ী হন। গোয়ালনগরে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কিরণ মিয়া ৪ হাজার ১২১ ভোট এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আজহারুল হক ৪ হাজার ১৫০ ভোট পান।

সংবাদ সম্মেলনে প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা কিরণ মিয়া করে বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর গোয়ালনগর ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি আজহারুল হককে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করে একটি বিশেষ মহল। তাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিত অভিযোগ করি। পরে আজহারুলকে বাদ দিয়ে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, ভোটের দিন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি রামপুর ও নোয়াগাঁও ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়। সেজন্য সব ভোটার ভোট দিতে পারেননি। ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল হক রামপুর ভোটকেন্দ্রে দুপুর দেড়টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে অবস্থান করেন। 

তিনি রামপুর কেন্দ্র ব্যতীত ৮টি কেন্দ্রের ফলাফল নিজের হাতে নিয়ে খেয়াল-খুশি মতো ঘোষণা করেন। আমাকে ২৯ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়। আমার এজেন্টদের তথ্য অনুযায়ী- কেন্দ্রে ভোট গণনা সঠিক হয়নি। সেজন্য আমি পুনরায় ভোট গণনা অথবা পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে গোয়ালনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ কর্মী কাউসার মিয়া ও ছাত্রলীগ কর্মী এনায়েত হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর