ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর সীমান্তবর্তী মিনাপুর এলাকায় পুলিশ-গ্রামবাসীর তাড়া খেয়ে একটি পুরুষ নীলগাই মারা গেছে। শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ভারত থেকে আসা একটি নীলগাই হরিপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা মিনাপুর গ্রামে দেখা যায়।তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। হরিপুর থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় নীলগাইটিকে আটক করতে সক্ষম হয়।পরে তারা সেটি বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। 

মিনাপুর এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল জলিল ঢাকা পোস্টকে বলেন, নীলগাইটিকে ধরার জন্য এলাকার মানুষ ও পুলিশ তৎপরতা চালায়। এ সময় নীলগাইটি বাঁচার জন্য চেষ্টা কেতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

স্থানীয় জমশের আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি কোনো দিন নীলগাই দেখিনি। আজ প্রথম দেখলাম। তবে শেষ পর্যায়ে কষ্ট পেয়েছি। নীলগাইটি নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে বিভিন্নভাবে আঘাত পেয়েছে। পরে শুনলাম চিকিৎসা দেওয়া অবস্থায় মারা গেছে। 

কারিগাও বিজিবি ক‍্যাম্পের নায়েক সুবেদার কফিল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা নীলগাইয়ের খবর পেয়ে সেখানে যায়। একটি পুরুষ নীলগাই সীমানার ৩৫৩ নং পিলারের ২ এস এলাকা দিয়ে কাটাতার পার হয়ে উপজেলার মিনাপুর গ্রামে ঢুকে পড়ে। পরবর্তীতে পুলিশ ও এলাকাবাসী আটক করে। নীলগাইটি যখন আমরা হাতে পায় তখন সেটি আঘাতপ্রাপ্ত ও জখম অবস্থায় ছিল। আমরা তাৎক্ষণিকভাবে উপজেলার প্রাণিসম্পদ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। 

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্যারেন্ট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মো. খোরশেদ আলম বলেন, অনেক বেশি আঘাত লেগেছিল। ফলে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে নীলগাইটি মারা যায়। বিলুপ্ত প্রায় নীলগাইটিকে এভাবে ধাওয়া দিয়ে জখম করে শেষ করে দেওয়া উচিত হয়নি। বরং সঠিকভাবে আটক করে সংরক্ষণ করা ছিল আমাদের কর্তব্য। এভাবে মানুষের হাতে প্রাণী শেষ হতে থাকলে আমাদের জন্য তা মোটেও কল্যাণকর হবে না।

হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয়দের সহযোগিতায় আমরা  নীলগাইটি উদ্ধার করি। পরে কারিগাও বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এসপি