রংপুরের পীরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিক প্রার্থী আবু সালেহ মো. তাজিমুল ইসলাম শামীম নির্বাচিত হয়েছেন। এ নিয়ে তিনি টানা দ্বিতীয়বার মেয়র হলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাসুরপূত্র ও পরমানু বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার ভাতিজা।

এবার নৌকা প্রতীকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সালেহ মো. তাজিমুল ইসলাম শামীম পেয়েছেন ৭ হাজার ৭০৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা সুলতান মাহমুদ হাতপাখা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬৩। লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী জায়দুল ইসলাম ১ হাজার ১৫৬ ভোট পেয়েছেন।

রোববার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে এ ঘোষণা দেন রিটার্নিং অফিসার এমদাদুল হক। এর আগে সকাল ৮টা থেকে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএম পদ্ধতিতে প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ভোটাররা।

এছাড়া নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে কবিরুল ইসলাম (উটপাখি), ২নং ওয়ার্ডে মশিউর রহমান পারভেজ (ডালিম), ৩নং ওয়ার্ডে রাসেল মিয়া (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), ৪নং ওয়ার্ডে সাইফুল ইসলাম আজাদ (ডালিম), ৫নং ওয়ার্ডে আরমান আলী তালুকদার (উটপাখি), ৬নং ওয়ার্ডে আশরাফুল ইসলাম (পানির বেতল), ৭নং ওয়ার্ডে আলমগীর হোসেন (উটপাখি), ৮নং ওয়ার্ডে আব্দুর রাজ্জাক (পানির বোতল) এবং ৯নং ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম নুরু ( ডালিম) নির্বাচিত হয়েছেন।

এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে এসমত আরা শেলী (চশমা), ২নং ওয়ার্ডে শাবানা খাতুন (চশমা) ও ৩নং ওয়ার্ডে সেলিনা আকতার শিখা (অটোরিকশা) নির্বাচিত হয়েছেন।

নির্বাচিত মেয়র তাজিমুল ইসলাম শামীম তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, এ বিজয় উন্নয়নের পক্ষের মানুষের। এ জয় সন্ত্রাস, নাশকতা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। পীরগঞ্জের মানুষ উন্নয়নের পক্ষে ছিল। আমি পীরগঞ্জ পৌরসভাকে মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখব।

এবার নির্বাচনে মেয়র পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর ১১ এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩১ প্রার্থী ছিলেন। নয়টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এ পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ৮৬১ জন।

পীরগঞ্জ পৌরসভা ঘোষণার পর এটি দ্বিতীয় নির্বাচন। এর আগে ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট প্রথম নির্বাচন হয়। এ সময় আবু সালেহ মো. তাজিমুল ইসলাম শামীম ৬ হাজার ১৯০ ভোটের ব্যবধানে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সায়দুর রহমান পেয়েছিলেন ১ হাজার ৪৪০ ভোট।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস