তৃতীয় ধাপে সিলেটের তিন উপজেলার ১৬ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯টিতে নৌকার প্রার্থী জয়লাভ করলেও সিলেট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের নিজ এলাকা ২ নং জৈন্তাপুর ইউনিয়নে হয়েছে নৌকার ভরাডুবি।

এই ইউনিয়নে দ্বিতীয় অবস্থানেও আসতে পারেনি নৌকার প্রার্থী। শুধুমাত্র নিজ ইউনিয়ন কিংবা উপজেলা নয় মন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা (সিলেট-৪) একই অবস্থা দেখা গেছে।তার নির্বাচনী এলাকার জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে নৌকা জয় পেয়েছে মাত্র পাঁচটি ইউনিয়নে।

নির্বাচনের এ ফলাফল ও নৌকার ভরাডুবির কারণে স্থানীয়দের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা চলছে। অনেকেই এর কারণ হিসেবে দলের সমন্বয়হীনতা, বেশামাল বিদ্রোহী প্রার্থী ও দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে দোষারোপ করছেন।

উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়, সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ৫ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে হয়েছে মূল লড়াই। তবে নির্বাচিতদের মধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত দুইজন ও স্বতন্ত্র তিনজন বিজয়ী হয়েছেন।  

উপজেলার ২ নম্বর জৈন্তাপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফখরুল ইসলাম (আনারস) ৫ হাজার ৪৬৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী আলমগীর হোসেন (ঘোড়া) ৩ হাজার ৭৪১ ভোট পেয়েছেন। এছাড়া ৩ নং চারিকাটা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুলতান করিম (দুটি পাতা) ৪ হাজার ৫৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম চৌধুরী (অটোরিকশা) ২ হাজার ২১৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

৪ নং দরবস্ত ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বাহারুল আলম বাহার (আনারস) ১০ হাজার ১১১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ কুতুব উদ্দিন (নৌকা) ৭ হাজার ১৩৯ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

৫ নং ফতেপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিক আহমদ (নৌকা) ৭ হাজার ৬৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশীদ (ঘোড়া) ৪ হাজার ৯৬৩ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।

৬ নং চিকনাগুল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান চৌধুরী (নৌকা) ২ হাজার ৭৩৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম জাকারিয়া (চশমা) ২ হাজার ৬৬৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। পুরো উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ৩২ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে অংশ নেন।

আর সিলেট-৪ আসনের গোয়াইনঘাট উপজেলার ডৌবাড়ি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী এম নিজাম উদ্দিন, তোয়াকুলে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মো. লোকমান, নন্দিরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের এস কামরুল ইসলাম আমিরুল, ফতেহপুরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী আমিনুর রশিদ চৌধুরী, লেংগুড়ায় আওয়ামী লীগের মো. মুজিবুর রহমান ও রুস্তমপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির শাহাব উদ্দিন বিজয়ী হয়েছেন।

এসপি