তৃতীয় ধাপে ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে খুলনার দুইটি উপজেলার সাত ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এসব ইউনিয়নের নির্বাচনের ফলাফল বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে কম ভোট পাওয়ায় সাতটি ইউনিয়নের ১১ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।

খুলনার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এম মাজহারুল ইসলাম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ৫ হাজার টাকা করে জামানত হিসেবে জমা দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে ওই ইউনিয়নের সব ভোটকেন্দ্রে (কাস্টিং ভোট) পড়া মোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ বা ১২.৫ শতাংশ ভোট পেতে হয়।  

নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, তেরখাদা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৮ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন। এর মধ্যে মধুপুর ইউনিয়নের তিন প্রার্থীর একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন- ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. জিয়াউর রহমান (হাতপাখা)।

আজগড়া ইউনিয়নের ৫ প্রার্থীর মধ্যে দুইজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- মো. আক্তারুজ্জামান (মোটর সাইকেল) ও মো. আবুল হাসান (আনারস)।

সাচিয়াদাহ্ ইউনিয়নের ৫ প্রার্থীর মধ্যে দুইজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল উদ্দিন লস্কার (আনারস) ও তাপস বিশ্বাস (ঢোল)।  

ছাগলাদাহ্ ইউনিয়নের চার প্রার্থীর মধ্যে একজন জামানত হারাচ্ছেন। তিনি হলেন- মো. মনজুরুল আলম (মোটর সাইকেল)।

বারাসাত ইউনিয়নের ৬ প্রার্থীর মধ্যে দুইজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মো. ওমর ফারুক (হাত পাখা) ও এজিএম বাছিতুল হাবিব (মোটর সাইকেল)। তবে তেরখাদা সদর ইউনিয়নে তিনজন প্রার্থীর কারও জামানত হারানোর সম্ভাবনা নেই।  

এ ছাড়া রূপসা উপজেলার ঘাটভোগ ইউনিয়নের ৫ প্রার্থীর মধ্যে তিনজন জামানত হারাচ্ছেন। তারা হলেন- ইসলামী আন্দোলনের আবদুল হাফিজ শেখ (হাত পাখা), জাকের পার্টির সোহেল শেখ (গোলাপ ফুল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ মঞ্জুরুল আলম (ঘোড়া)।

মোহাম্মদ মিলন/আরআই