পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের খনগাঁও ইউনিয়নের ঘিডোব এলাকায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বিজিবির গুলিতে তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্বজন হারানোর শোকে নিস্তব্ধ গোটা এলাকা। 

বুধবার (১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঘিডোব এলাকা পরিদর্শন করেছেন পুলিশের রংপুর রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান। পরে ঘিডোব বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এ সময় এলাকাবাসী অতিরিক্ত ডিআইজির কাছে তাদের কষ্টের কথা তুলে ধরেন। তারা জানান, গ্রেফতারের ভয়ে অনেকেই এলাকা ছেড়েছেন। 

অতিরিক্ত ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন শেষ হওয়ার পর নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় তিনজন নিহত হন। অনেকজন আহত হন। যা একেবারে অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা চাই না দেশের কোথাও এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটুক। ঘটনাটি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আমাদের তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। 

এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করে তিনি আরও বলেন, কোনো নিরপরাধ মানুষকে গ্রেফতার বা হয়রানি করা হবে না। আপনারা নির্ভয়ে নিজ বাসায় থাকতে পারেন। যারা এ ঘটনায় দোষী তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

প্রসঙ্গত, গত ২৮ নভেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার ৩ নম্বর খনগাঁও ইউনিয়নের ঘিডোব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর ও কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারসহ সবাইকে অবরুদ্ধ করা হয়। দেড় ঘণ্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে তাদের ওপরও আক্রমণের চেষ্টা করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সদস্যরা কয়েক রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়েন। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

বিজিবির গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন অবিনাশ চন্দ্রের ছেলে আদিত্য রায় (২০)। আহতদের চিকিৎসার জন্য পীরগঞ্জ উপজেলা কমপ্লেক্স ও ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে হাবিবপুর গ্রামের বাসিন্দা সাহাবলি হুসেন (৩৫) এবং মোজাহারুল ইসলাম (৪০) মারা যান।

এম এ সামাদ/আরএআর