নির্বাচিত হওয়ার দুই দিন পরই কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে দুর্ভোগ লাঘবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিলেন টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার। তিনি ঘড়িয়া গ্রামের লৌহজং নদীর ওপর ১৩০ ফুট কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন। 

বুধবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে ঘড়িয়া এলাকায় লৌহজং নদীর ওপর নির্মিত কাঠের সেতুর উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার। সেতুটি নির্মাণে মোট খরচ হয়েছে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৫০ হাজার টাকা নগদ প্রদানসহ আরও ২০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন চেয়ারম্যান। বাকি টাকা গ্রামবাসী সংগ্রহ করেছেন। 

এর আগে গত ২৮ নভেম্বর নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মাসুদ তালুকদারকে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। নির্বাচিত হওয়ার পরই তিনি তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাঠের সেতু নির্মাণ করে কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াত সমস্যার সমাধান করেলেন। 

জানা গেছে, নারান্দিয়া ইউনিয়ন ও এলেঙ্গা পৌরসভার সীমান্তবর্তী গ্রাম ঘড়িয়া। এই গ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে লৌহজং নদী। নদীর এপার ওপারে মিলিয়ে ৮-১০টি গ্রাম রয়েছে। শেরপুর, মিরপুর, ঘড়িয়া, পোষণা, দেউলাবাড়ী, নাগা, তাঁতিহারা গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামের লোকজন ঘড়িয়া গ্রাম হয়ে যাতায়াত করেন। এ জন্য লৌহজং নদী পাড় হতে হয়। তবে বর্ষা মৌসুমে ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয়দের। তারা লৌহজং নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে জীবনের ঝুঁকি নদী পারাপার হতেন। 

নারান্দিয়া ইউনিয়নের নাগা গ্রামের হুরমুজ আলী তালুকদার বলেন, মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করলেন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান।

ঘড়িয়া গ্রামের ইমান আলী বলেন, বাঁশের সাঁকো দিয়ে ভ্যান, অটোরিকশা পাড় করতে খুবই কষ্টসাধ্য ব্যাপার ছিল। নির্বাচিত হওয়ার দুই দিন পরই চেয়ারম্যান সুন্দর ও মজবুত কাঠের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছেন। এখন আর ভ্যান-অটোরিকশা নিয়ে পার হতে কোনো সমস্যা হবে না। এখন ইঞ্জিনচালিত ছোট ছোট যানবাহনও সেতু পারাপার হতে পারবে।

নারান্দিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মাসুদ তালুকদার বলেন, নির্বাচনের আগে ওই গ্রামের লোকজন লৌহজং নদীর ওপর কাঠের সেতু নির্মাণের করে দেওয়ার দাবি করেন। নির্বাচিত হওয়ার পর সেখানে সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার আশ্বাস দেই। ওই গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার বাঁশ-বেতের কাজ করে। তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য সেখানে কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। সেতু নির্মাণ নগদ ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। তাদের দাবি অনুযায়ী আরও ২০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। সেতুটি নির্মাণের ফলে ওই গ্রামসহ আশপাশের প্রায় ১০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে।

অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর