আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের প্রচারণা

আগামী ৩০ জানুয়ারি ৩য় ধাপে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী সৈয়দ রিন্টুকে শেষ দিনের প্রচারণায়ও দেখা মেলেনি। তবে মাঠে প্রচারণা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার মেয়র প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। পাশাপাশি প্রচারণা চালিয়েছে সাধারণ এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা।

সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছে সকল প্রার্থী। কিন্তু মাঠে দেখে মেলেনি বিএনপি প্রার্থীর। এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দুই দলের মেয়র প্রার্থী দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করছেন। পোস্টার সাঁটানো মাইকিংসহ ভোটারের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাচ্ছেন প্রার্থীরা। পুরো পৌরসভাই মেতেছে উৎসবের আমেজে।

কথা হয় পৌর ভোটার হামিদ আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমরা এখনকার নির্বাচন ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে করি। কোনো উত্তাপ ছিল না। কিন্তু এবারের পৌরসভা নির্বাচনে অধিকাংশ এলাকাই প্রার্থীরা নিজেদের জানান দেওয়া লক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা ভোটের জন্য মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন, ভোট চাচ্ছেন। নৌকার প্রার্থী ইশতেহার ঘোষণা করেছে। এই রকম যদি সকলেই ঘোষণা করত তাহলে মানুষের ভোটের প্রতি আগ্রহ এবং প্রার্থীর জবাবদিহিতা থাকত।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ বলেন, নির্বাচন হবে নির্বাচনের মতো। সকল দল সমানভাবে কাজ করবে। আওয়ামী লীগ সব সময় এমনটাই চায়। সেটাই হচ্ছে। আমি আমার নির্বাচনের পরে কী কী করব, তা ইশতেহারের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছি। এখন আবার ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। তাদের কথা শুনছি। আশা রাখি জনগণের বিপুল ভোটে জয় লাভ করব।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েক নেতা বলেন, দল মননোয়ন দিয়েছে, তিনি হলেন প্রবাসী। ছাত্র জীবন থেকেই করে এসেছে জাতীয় পার্টি। আমাদের সমর্থিত প্রার্থী ছাড়ায়ই তারা নিজেরা প্রার্থিতা দিয়েছে। কেন দিয়েছে। কীভাবে দিয়েছে এটা সিনিয়র নেতারাই জানে। 

বিএনপি মনোনীত ধানের শীর্ষ প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ রিন্টু বলেন, আমরা নির্বাচনে আছি। ভোট চাচ্ছি। এর বেশি কিছু বলব না। ধানের শীষের কোনো পোস্টার নাই কেন? এমন প্রশ্ন তিনি এরিয়ে যান।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আতিয়ার রহমান বলেন, পৌর নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ শেষ হয়েছে। এবারের নির্বাচন ব্যালেট পেপারের মাধ্যমে হচ্ছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর