কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনের প্রধান আসামি শাহ আলম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়া খবরে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। অপরদিকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত শাহ আলমের লাশ এলাকায় যেন ঢুকতে না পারে, সেজন্য ঝাড়ু মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন স্থানীয়রা।

শাহ আলমের এলাকার মোবারক হোসেন জানান, তার অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল। সে ধনী-গরিব কিছু মানতো না। তার ভয়ে এতদিন কেউ মুখ খুলতে পারেননি। আমরা চাই তার লাশ যেন এলাকায় না আনা হয়। হাজেরা বেগম নামে আরেক বাসিন্দা জানান, শাহ আলম এলাকার প্রতিটি দোকানে চাঁদাবাজি করত। কেউ প্রতিবাদ করলে মারধর করত।

এদিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ জোড়া খুনের প্রধান আসামি শাহ আলম পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হওয়ায় এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছেন স্থানীয়রা।

মামরার বাদী রুমান জানান, হত্যাকারীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার ও ‌‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। আমি পুলিশ সুপার মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাই। তবে এই হত্যাকাণ্ডের গডফাদার কারা? অর্থ ও অস্ত্রের যোগানদাতাদের খুঁজে বের করতে হবে।

কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, কুমিল্লা নগরীর টিক্কারচর কবর স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেখানে তাকে দাফনের প্রস্তুতি চলছে।

অমিত মজুমদার/এমএসআর