রংপুর থেকে ১৫০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে ভ্রমণযাত্রা শুরু করেছেন তিন শিক্ষার্থী। তারা সবাই রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রেসিডেন্ট রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জনের লক্ষ্যে এ পদযাত্রা করছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট ক্যাম্পাস থেকে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ভোজনপুর সেতুর উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন তিন রোভার সদস্য। যাত্রাপথে সাধারণ মানুষেদের মাঝে কারিগরি শিক্ষার গুরুত্ব, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ ও করোনায় করণীয় সম্পর্কে সচেতনতার বার্তাও পৌঁছাবেন।

রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রোভার স্কাউট গ্রুপের সিনিয়র রোভার মেট- শহিদুল ইসলাম জীবন (ক ইউনিট), মো. কামরুল ইসলাম খান (খ ইউনিট) ও রোভার মেট মো. রাকিবুল ইসলাম রুম্মান (খ ইউনিট) পায়ে হাঁটার এ যাত্রায় অংশ নিয়েছেন। আগামী ৬ ডিসেম্বর তাদের এই পরিভ্রমণ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ভোজনপুর সেতু গিয়ে শেষ হবে।

তিনটি বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে নিজেদের লক্ষ্য অর্জনে ১৫০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গন্তব্যে পৌঁছানোই মূল উদ্দেশ বলে জানান টিম লিডার শহিদুল ইসলাম জীবন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, আমাদের স্বপ্ন প্রেসিডেন্ট রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন। পাশাপাশি আমরা এ পদযাত্রায় সাধারণ মানুষকে কিছু বিষয়ে সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করব। ‌‘প্রজন্মের দীক্ষা-কারিগরি শিক্ষা, পলিথিনের সর্বগ্রাস-পরিবেশের সর্বনাশ এবং করোনা শেষ হবার নয়-সচেতনতায় সুরক্ষা হয়’-এই তিনটি বার্তা নিয়ে আমরা পদযাত্রা করছি।

এদিকে দীর্ঘ ১৫০ কিলোমিটার পথ হেঁটে বের হওয়া ভ্রমণযাত্রী তিন শিক্ষার্থীকে বুধবার (১ ডিসেম্বর) পরিভ্রমণের বিষয়াদি সম্পর্কে অবহিতকরণ করেন রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রোভার স্কাউট লিডার মহাদেব কুমার গুণ।

পরে রংপুর জেলা রোভারের সহ-সভাপতি ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিট) এ.ডব্লিউ.এম রায়হান শাহ এবং পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আরেফিনা বেগমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ওই তিন ভ্রমণযাত্রী।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএএস