সিলেট প্রেসক্লাবের ২০২২-২০২৩ সেশনের নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সিলেটের সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সিলেট প্রেসক্লাবের ১১ জন সদস্যের দায়ের করা মামলার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন বিচারক।

একই সঙ্গে আবেদনকারী ১১ জনকে কেন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না' এই মর্মে দশ দিনের মধ্যে কারণ দর্শাতে ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নোটিশ করেছেন আদালত। 

মামলার আইনজীবী রফিক আহমদ জানান, সিলেট প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ২৫ নভেম্বর মধ্যরাতে একটি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা ক্লাবের নোটিশ বোর্ডে টানান সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেনু। এ তালিকায় প্রেসক্লাবের ২৩ জন সদস্যকে বাদ দেয়া হয়।

কোনো রকম কারণ দর্শানোর নোটিশ না দিয়ে এবং কার্যনির্বাহী কমিটিকে না জানিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সম্পূর্ণ এখতিয়ার বহির্ভুতভাবে এ ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছেন বলে জানান এ আইনজীবী।

তিনি বলেন, আবেদনকারী ১১ জন সাংবাদিক সিলেট প্রেসক্লাবের নিয়মিত সদস্য। নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে বিনা কারণে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে।

অ্যাডভোকেট রফিক আরো জানান, ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটির মধ‍্যে ৭ জনই ইতোমধ্যে এ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে লিখিত  অনাস্থা জানিয়েছেন। তারপরও কোনো সুরাহার উদ্যোগ না নিয়ে একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করছেন বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। 

এ অবস্থায় ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়া ১১ জন সাংবাদিক আদালতে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করেন। আদালত বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে সিলেট প্রেসক্লাবের নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করেছেন। প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মো. রেনু ছাড়াও এ মামলায় বিবাদী করা হয়েছে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রিসাইডিং অফিসার অ্যাডভোকেট এমাদুল্লাহ শহীদুল ইসলামকে।

আবেদনকারী সিলেট প্রেসক্লাবের ১১ জন সদস্য হলেন খায়রুল জাফর চৌধুরী, আব্দুল জব্বার, গোলাম মর্তুজা বাচ্চু, শাহনেওয়াজ তালুকদার, এনামুল হক, হাসান মোহাম্মদ শামীম, মো. জাহেদ আহমদ, আবু বক্কর সিদ্দিক, লবিদ হোসেন চৌধুরী, মুহিব আলী ও শাফি চৌধুরী।

আাদালতে বাদীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী রফিক আহমদ চৌধুরী। তাকে সহযোগিতা করেন- সিনিয়র আইনজীবী কল্যাণ চৌধুরী, জেলা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অশোক পুরকায়স্থ, সিরাজুল ইসলাম, রব নেওয়াজ রানা,সুমেল আহমদ ও তারেক আহমদ।

এমএএস