বিজয়ী চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের তৃতীয় ধাপের নির্বাচনের ৩ দিন পর চেয়ারম্যান পদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। ফল অনুযায়ী আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল গফুরকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। ফলাফলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান।

গত ২৮ নভেম্বর ওই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর একটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় সেটি উদ্ধার না হওয়ায় ফলাফল ঘোষণা বন্ধ রাখেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এরপর ২ ডিসেম্বর বিকেলে (বৃহস্পতিবার) এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

ঘোষিত ফল অনুযায়ী বিজয়ী প্রার্থী আব্দুল গফুর পেয়েছেন ৪ হাজার ২৩৮টি এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ৫০ ভোট কম পেয়ে ২য় স্থানে রয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহজামাল সরকার। তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ১৮৮ ভোট। পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকা মার্কার প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন পেয়েছেন ৫২৩ ভোট।

উল্লেখ্য, ২৮ নভেম্বর নির্বাচনের দিন যাত্রাপুর  ইউনিয়নের ঝুনকারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে একটি ব্যালট বাক্স ‘ছিনতাইয়ের’ অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপত্তা হেফাজতে নেন।

এরপর ছিনতাই হওয়া ব্যালট বাক্সটি উদ্ধার না হওয়ায় ফলাফল ঘোষণা বন্ধ রেখেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। তবে এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন পরাজিত নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. শাহজামাল সরকার।

তিনি বলেন, এই ফল আমি প্রত্যাখ্যান করলাম। যাত্রাপুরের ১০ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯ কেন্দ্রের ফল ঘোষণা করা হলেও ঝুনকার চর কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত ছিল। এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ দায়ের করা আছে। এমতাবস্থায় জেলা থেকে কীভাবে ফলাফল প্রদান করা হয়। এটা জনগণের ভোটাধিকারের সঙ্গে প্রতারণা।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান বলেন, যাত্রাপুর ইউনিয়নের ১০ কেন্দ্রের মধ্যে দুইটি কেন্দ্রে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পর সেই কেন্দ্রের ফলাফল স্থগিত ছিল, বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনায় ভোটের ৩ দিন পর বিলম্বে ফলাফল ঘোষণা করা হলো।

জুয়েল রানা/এমএসআর