প্রথমবারের মতো মেরিনড্রাইভ আলট্রা-ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গ, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ও হুইলচেয়ার ব্যবহারকারী ১০০ জনসহ সারাদেশ থেকে বাছাই করা ২০০ জন দৌড়বিদ। শুক্রবার (০৩ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় ইনানী সৈকতের বালিয়াড়ি থেকে এই ম্যারাথন প্রতিযোগিতা শুরু হয়।
 
মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিজয়ের মাসকে কেন্দ্রে করে প্রতি বছরের মতো এবারও মেরিন ড্রাইভ আলট্রা ম্যারাথনে শীর্ষ দৌড়বিদরা অংশগ্রহণ করেন।

আয়োজকরা জানান, ইনানী থেকে শুরু হয়ে টেকনাফ জিরোপয়েন্টে গিয়ে শেষ হবে এই ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। এই ম্যারাথনের যৌথ আয়োজক ট্রাভেলার্স অব বাংলাদেশ (টিওবি) ও এসকাপেড।

মেরিন ড্রাইভ আলট্রা-ম্যারাথনে বরিশাল, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, চট্রগ্রাম থেকে এসে দৌড়বিদরা অংশ নিয়েছেন। মেরিন ড্রাইভ আলট্রা-ম্যারাথনে ফুল ম্যারাথন, হাফ ম্যারাথন এবং ডিজিটাল ম্যারাথন ক্যাটাগরিতে লড়েছেন দেশের দৌড়বিদরা।

প্রতিবন্ধী ৫০ কিলোমিটার, সাধারণ দৌড়বিদদের জন্য ১০০ কিলোমিটার, দেশের শীর্ষ দৌড়বিদরা ১০০ মাইল লড়েছেন। দীর্ঘ ম্যারাথনে দেশের বিভিন্ন জায়গায় থেকে প্রতিবন্ধীসহ ২০০ জন অংশ নেওয়ার মতো এটিই প্রথম ব্যতিক্রমী আয়োজন।

প্রতিবন্ধী তানজিনুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজকের ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করা প্রথম। আমাদের মধ্যে যে একটা প্রতিভা আছে সেটা আমরা দেখাতে পারছি না। আমি অন্ধ বলে পরিবারের সদস্যরা বোঝা মনে করতো। অনেকবার আত্মাহত্যা করতে চেয়েছিলাম। আজ ম্যারাথনে অংশ নিয়ে নিজেকে চিনতে বুঝতে শিখেছি।

আয়োজক ওমর ফারুক ঢাকা পোস্টকে জানান, এটার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের বৈষম্য দূর করা যাবে। প্রতিবন্ধীদের পরিবারের সদস্যরা বোঝা মনে করা, তাদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা সেটা দূর করা সম্ভব। এই ম্যারাথনে অংশ নেওয়া অনেকেই যুবক। তাদের মাদক সেবন থেকে দূরে রাখা একমাত্র ম্যারাথনের মাধ্যমে সম্ভব।

এমএসআর