স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে সিলেটে প্রায় ১২০০ দৌড়বিদদের নিয়ে হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় সিলেট রানার্স কমিউনিটির আয়োজনে এই  হাফ ম্যারাথন শুরু হয়ে শেষ হয় সকাল সাড়ে ১০টায়। 

দৌড়বিদরা সিলেটের ঐতিহ্যবাহী ক্বীন ব্রিজ এলাকা থেকে দৌড় শুরু করে সিলেট আন্তজার্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ফিনিশিং লাইনে এসে সমাপ্ত করেন। দুটি বিভাগের এই হাফ ম্যারাথন দুই রুটে অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি ২১.১ কিলোমিটার এবং অপরটি ১০ কিলোমিটার।

দৌড়ে অংশগ্রহণ করা ৫৪ বছর বয়সী হাসিনা আক্তার বলেন, র্দীঘদিন আমি ডায়াবিটিসের সমস্যায় ভুগছিলাম। কিন্তু যখন রানিং শুরু করলাম, অনেক ভালো লাগতে শুরু করল। এখন আমার রানিং করা একটা নেশা হয়ে গেছে। আমি এখন আমার পরিবার নিয়ে দৌড়াই।

অংশগ্রহণকারী আরেক দৌড়বিদ নৃপেন চৌধুরী বলেন, ৭১ বছর বয়সেও আমি দৌড়াতে পারি। আমি শারীরিকভাবে সুস্থ আছি। সবাইকে হাঁটা এবং দৌড়ানোর জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

আয়োজক কমিটির সদস্য এবং সিলেট রার্নাস কমিউনিটির অ্যাডমিন ডাক্তার ওরাকাতুল জান্নাত বলেন, তরুণ সমাজকে মাদক ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। আমরা প্রতি বছরই ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে দৌড়ের প্রতি আকৃষ্ট করছি। আমরা পরিবেশ বান্ধব এই ধরনের আয়োজন অব্যাহত রাখতে চাই। বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই সিলেট প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য।

ম্যারাথন শেষে বিজয়ীদের হাতে ক্রেস্ট, মেডেল এবং নগদ টাকা উপহার তুলে দেন উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি  সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) জনাব জাকারিয়া আহমেদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের এই কঠিন সময়ে স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আমরা মনে করি রানিং মানুষকে সুস্থ রাখে। আশা করব সবাই এই চেষ্টা অব্যহত রাখবেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট রানার্স কমিউনিটির সদস্য ডাক্তার ওরাকাতুল জান্নাত, মনজুর আহমেদ আরিফ, মো. হাসান আহমেদ, মো. মিজান, কামরুল ইসলাম, মো. আবু সালেহ, আলি কামাল সুমন প্রমুখ।

মাসুদ আহমদ রনি/আরআই