ভারতে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ায় হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও স্থলবন্দরে নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ওমিক্রন প্রতিরোধে বাড়তি সতর্কতা জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নুর এ আলম। 

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেকেন্দার আলী বলেন, এই চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপার হচ্ছে না, তবে ভারতে আটকে পড়া পাসপোর্ট যাত্রীরা এই ইমিগ্রেশন ব্যবহার করে দেশে ফিরতে পারছেন। ফেরত আসা পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি আমরা কঠোরভাবে নিশ্চিত করার পর তাদেরকে ইমিগ্রেশন পাস দিচ্ছি। ভারত থেকে আসা সকল পাসপোর্ট যাত্রীদের করোনাভাইরাসের নেগেটিভ সনদ, রক্ত পরীক্ষাসহ নানা তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।

হিলি পানামা পোর্টের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন, আমরা বন্দরে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছি। ভারতীয় চালকরা যাতে অবাধে বন্দরে চলাচল করতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি রাখা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া বন্দরে কোনো শ্রমিক ও ব্যবসায়ীকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

হাকিমপুর উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর এ আলম বলেন, যেহেতু হিলি একটি সীমান্ত এলাকা তাই এখানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা করোনা মোকাবেলা করে যাচ্ছি। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যবিভাগ ও স্থলবন্দর কতৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাসপোর্ট যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়, করোনা নেগেটিভ সনদসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করার পর দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে স্থলবন্দরে ভারত থেকে আসা ভারতীয় ট্রাক চালকদের শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়সহ পানামা অভ্যন্তরে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। যাতে করে ওমিক্রন নামক করোনার নতুন ধরন হিলিতে ছড়িয়ে না পড়ে।

তিনি আরও বলেন, আগামীকাল রোববার আমাদের করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে হইতো আরও নতুন কিছু নির্দেশনা আসবে বলেও জানান তিনি।

সোহেল/আরআই