চতুর্থ ধাপে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নুরুন নবী দুলালের দুই স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সোমবার (০৬ ডিসেম্বর)  মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে তার প্রথম স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী নাসিমা খাতুন উপস্থিত হয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, খানমরিচ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুন নবী দুলাল স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে তিনি ছয় মাস আগে ১২ বছর চাকরি থাকতেও অবসর নেন। এ অবস্থায় তফসিল ঘোষণার পর তিনি ও তার দুই স্ত্রী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালান। পরে গত রোববার (২১ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান তিনি। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) তিনি দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর কিছুক্ষণ পর তার দুই স্ত্রীও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন নবী এলাকায় বেশ জনপ্রিয় বলে চাকরি ছেড়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই নিয়ে সংশয় থাকায় তিনি দুই স্ত্রীকে দিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করিয়েছিলেন।

তবে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে, স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্য ও দুই সতিনের মধ্যে সুসম্পর্কের ঘাটতির কারণে ফেরদৌসী বেগম ও নাসিমা খাতুন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নুরুন নবী দুলাল ঢাকা পোস্টকে জানান, বিশেষ কিছু কারণে দুই স্ত্রীসহ নিজেও মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করিয়েছিলাম। যাতে পরিবারের কেউ একজন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে পারি। আমি অনেক চিন্তাশীল মানুষ বলেই ভেবেচিন্তে কাজটি করেছিলাম। শেষ পর্যন্ত আমি তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়েছি।

 উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রুখশানা নাছরিন বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীর দুই স্ত্রী ফেরদৌসী বেগম ও নাসিমা খাতুন দুইজনই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সব ব্যবস্থা নিয়েছি।

প্রসঙ্গত, চতুর্থ ধাপের তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৬ ডিসেম্বর উপজেলার চার ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

রাকিব হাসনাত/এসপি