প্রতিদিনের মতো ঘুম ভাঙে কামনা মন্ডলের। ঘুম থেকে উঠে টয়লেটে যাওয়ার জন্য বাড়ির নলকূপ চাপ দিয়ে পানি বের করেন। কিন্তু চাপ দেওয়ার পরই সাদা পানির পরিবর্তে হালকা লালচে রঙের পানি বের হচ্ছে দেখতে পান। সন্দেহ হলে তিনি স্বামী অরূপ বিশ্বাসকে ডেকে দেখান। এরপর অরূপ বিশ্বাস চাপ দিয়ে দেখেন লাল রঙের পানি বের হচ্ছে। এরপর নলকূপের মাথা খুলে ভেতরে দেখেন, দানা জাতীয় কিছু রাখা আছে। প্রতিবেশীদের ডেকে দেখালে তারা বলেন, নলকূপের মধ্যে বিষ রাখা হয়েছে। 

ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ির লোকজনকে হত্যা করার উদ্দেশে কে বা কারা রাতের আধারে নলকূপের ভেতরে বিষ মিশিয়ে রেখেছিল। মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) সকালে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ৬ নং কাদিরপাড়া ইউনিয়নের দোরাননগর গ্রামে কালিপদ বিশ্বাসের বাড়িতে এমন ঘটনা ঘটেছে।

জানতে চাইলে কালিপদ বিশ্বাসের পুত্রবধূ কামনা মন্ডল ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঘুম থেকে উঠে নলকূপের পানি তুলতে যাই। একটি চাপ দিতেই দেখতে পাই টিউবওয়েল থেকে সাদা রঙয়ের পানি বের না হয়ে হালকা লালচে রঙের পানি বের হচ্ছে। এতে আমার মনে সন্দেহ হলে স্বামী অরূপ বিশ্বাসকে ডেকে দেখাই। তিনিও এসে চাপ দিলে একই ধরনের রঙিন পানি বের হয়। 

অরূপ বিশ্বাস বলেন, আমার সন্দেহ হলে প্রতিবেশীদের ডেকে দেখাই। তাদের পরামর্শে নলকূপ খুলি। দেখি নলকূপের ভেতরে দানা জাতীয় কিছু পড়ে আছে। দানা জাতীয় জিনিসগুলো বিষ বলে সবাই মতামত ব্যক্ত করেছেন। বাড়ির লোকজনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই কেউ রাতের আধারে এ কাজটি করে থাকতে পারে।

প্রতিবেশী কলেজশিক্ষক দীনেশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, আমি ঘুমিয়েছিলাম। সকালে অনুপ বিশ্বাস আমাকে ডাকলে আমরা কয়েকজন তার বাড়িতে যােই। দেখি টিউবওয়েল দিয়ে লালচে রঙের পানি বের হচ্ছে। 

শ্রীপুরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেন, ফুরাটন দানাদার জাতীয় বিষ। এটি পোকামাকড় দমনের জন্য ক্ষেত খামারে ব্যবহার করা হয়। মানুষ এটা খেলে বা কোনোভাবে পেটে গেলে তাতে মানুষের মৃত্যু অবধারিত।

এ বিষয়ে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায় ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। কারা কেন এ বিষয়টি ঘটিয়েছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হবে।

অপূর্ব মিত্র/এসপি