ডা. মুরাদ হাসান

আলোচনা-সমালোচনা, বিতর্ক অবশেষে মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় নিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন ডা. মুরাদ।

আর প্রধানমন্ত্রীর এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। একইসঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে মুরাদের থাকা বা না থাকার বিষয়ে সভায় বসবেন নেতৃবৃন্দ। ডা. মুরাদ জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক।

দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তে তারা ‘খুশি’ জানিয়ে  জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. বাকী বিল্লাহ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা সময়োপযোগী। প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে সে সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করি।

তিনি জানান, আজ বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের সভা আহ্বান করা হয়েছে। এ সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এবং ডা. মুরাদের ব্যাপারে আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করা হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী বলেন, তার উগ্রতা দলমত নির্বিশেষে গোটা জাতিকে বিব্রত করেছে। যা আওয়ামী লীগের মতো বৃহৎ দলের জন্য দুঃখজনক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন।

সরিষাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ছানোয়ার হোসেন বাদশা বলেন, এই তথ্যপ্রযুক্তির যুগে একজন তথ্য প্রতিমন্ত্রী যেভাবে অশ্রাব্য ভাষায় কথা বলে চলেছেন, তা সত্যিই লজ্জাজনক। প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এটা অবশ্যই প্রশংসনীয়। সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে ইতোমধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল করেছেন।

এর আগে, নারীদের নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ায় ডা. মুরাদকে মঙ্গলবারের মধ্যে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার রাত ৮টার দিকে প্রতিমন্ত্রী মুরাদকে এ বার্তা পৌঁছে দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

কয়েকদিন ধরেই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আলোচনায়-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ডা. মুরাদ হাসান। বিশেষ করে রাষ্ট্রধর্ম, রাজনীতি, খালেদা জিয়ার নাতনি ও সবশেষ ফোনালাপ ফাঁস নিয়ে ভেতর-বাইরে আলোচনা-সমালোচনায় ছিলেন তিনি। তার উল্টাপাল্টা মন্তব্য এবং অস্বাভাবিক আচরণের কারণে দলীয় সহকর্মীদেরও বিব্রত হতে হয়েছে।

এসবের জেরে গত সোমবার রাতে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

উবায়দুল হক/এমএসআর