ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মাদক মামলার এক আসামিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। 

এর আগে রোববার (০৫ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ইউনিয়নগুলোতে দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে।

সুলতানপুর ইউনিয়নে মনোনয়ন পাওয়া শেখ ওমর ফারুক র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) দায়ের করা একটি মাদক মামলার আসামি। ঢাকায় ফারুক ও তার বাবা ফিরোজুর রহমানের মদের বারের ব্যবসা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি সুলনতানপুরসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সুলতানপুরের বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুককেই দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ। তার বাবা ফিরোজুর রহমান বিগত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন।

গত ৫ আগস্ট ঢাকার শাহবাগ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা র‌্যাবের একটি মামলার ৬ নম্বর আসামি শেখ ওমর ফারুক। র‌্যাব-২, সিপিসি-১ এর নায়েক সুবেদার মো. সামছুল আলম মামলাটি দায়ের করেন।

ওই মামলা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৪ আগস্ট ঢাকার শাহবাগ থানাধীন ময়মনসিংহ রোডের হোটেল পিকক লিমিটেডের সামনে ফুটপাত এবং নির্মাণাধীন ভবনের দুটি কক্ষে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকসহ পাঁচজনকে আটক করে। র‌্যাবের উপস্থিতি টেরে পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজন পালিয়ে যায়। পরে আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে পলাতক তিনজনের নাম-ঠিকানা র‌্যাবের কাছে প্রকাশ করে। এর মধ্যে শেখ ওমর ফারুকও রয়েছেন। তারা দীর্ঘদিন ধরে পিকক হোটেলের সামনের ফুটপাত এবং নির্মাণাধীন ভবনের দুটি কক্ষে অবৈধভাবে দেশি-বিদেশি মদের কারবার করছিলেন।

তবে র‌্যাবের জব্দকৃত মদগুলো বৈধ উল্লেখ করে শেখ ওমর ফারুক বলেন, বারের ব্যবসাটি আমার বাবার। আমি এ ব্যবসায় কখনই জড়িত ছিলাম না। যেহেতু পৈতৃক ব্যবসা, সে সূত্রে বাবা আমার নামটা রেখেছেন। আমি মনোনয়ন পাওয়ার পরপরই সেখান থেকে নাম বাদ দিয়েছি। মামলাটি হয়েছে শুধু রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার সাংবাদিকদের জানান, কেন্দ্রে পাঠানো প্রার্থীদের তালিকায় কার কী অবস্থান- সেটি উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের মতামতও তুলে ধরা হয়। কেন্দ্রীয় নেতারা ওই তালিকার পাশাপাশি বিভিন্নভাবে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চূড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছেন।

আজিজুল সঞ্চয়/এসপি