জাওয়াদের প্রভাবে বরিশাল জেলায় টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে বেড়েছে নদ-নদীর পানি। জোয়ারের পানিতে প্রতিদিন দুই বার প্লাবিত হচ্ছে নদী-সংলগ্ন নিম্নাঞ্চল। যদিও ভাটার সময় আবার পানি নেমে যাচ্ছে।

অপেক্ষাকৃত নিম্নাঞ্চলে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। ফলে শীতকালীন সবজির আবাদ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। ক্ষতির মুখে রয়েছে খেসারি ও মসুর ডাল এবং গমের ফলনও। তবে ফসল নিয়ে এখনই আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গাজী জালাল জানান, বরিশাল জেলায় এ বছর ৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৪২৮ হেক্টর জমিতে রয়েছে আবাদকৃত ফসল। ৪ দিনের বৃষ্টিতে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৮৮৫ হেক্টর জমির শীতকালীন সবজি।

তিনি আরও জানান, ১২ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আবাদকৃত খেসারি ডালের মধ্যে ৪ হাজার ৬৩৪ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতির মুখে রয়েছে। এ বছর মসুর ডালের আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৯১ হেক্টর জমিতে। অসময়ের বর্ষণে আংশিক ক্ষতির সম্মুখীন জমিতে থাকা ৪ হাজার ৬৬ একর ফসল। জেলা-উপজেলা থেকে সংগ্রহ করে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে এ তথ্য নির্ণয় করা হয়েছে।

বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক হারুন অর রশীদ জানান, টানা বৃষ্টিতে কিছু কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে, যদিও তা সাময়িক। এর ফলে শীতকালীন সবজিসহ অন্যান্য ফসলের তেমন কোনো ক্ষতির শঙ্কা আপাতত নেই। তবে বৃষ্টিপাতের স্থায়ীত্ব বাড়লে ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের মিটারগেজ রিডার আবু রহমান জানান, ৪ দিনের টানা বৃষ্টিপাতে কীর্তনখোলা নদীসহ জেলার অন্যান্য নদীর পানি কিছুটা বেড়েছে। বর্তমানে কীর্তনখোলার পানির প্রবাহ রয়েছে ২.০৩ মিটারে। আর ডেঞ্জার লেভেলের মাত্রা ২.৫৫ মিটার।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএসআর