বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ফরিদপুরের মেহেদী হাসান রাসেলের বাবা অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সদস্য রুহুল আমিন রায় নিয়ে কিছুই বলতে চান না বলে জানিয়েছেন। বুধবার (০৮ ডিসেম্বর) রাত ১১টার দিকে মুঠোফোনে ঢাকা পোস্টকে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, এখন আমি কিছুই বলতে রাজি নই। কথা অনেক আছে। সেই কথার ২-১ ঘণ্টার ক্যাসেট দিতে পারব। কিন্তু এখন বলতে চাচ্ছি না। 

আলাপচারিতার এক পর্যায়ে তিনি বলেন, বড় ধরনের প্রতিক্রিয়া আছে। বড় করে বলতে চাই। কিন্তু আপনি সাংবাদিক কি না, আপনার কার্ড দেখব, তারপর আপনার নামের সঙ্গে মেলাব। তারপর আপনার কাছে যা যা বলার বলব।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আবাসিক হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ রাব্বীকে (২২) নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের উপস্থিতিতে রায় ঘোষণা করেন। আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এর পাশাপাশি যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিদের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এদিকে এই মামলার ফাঁসির প্রধান আসামি বুয়েট ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেলের ফরিদপুরের সালথার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গাবাড়ি গ্রামের বাড়ি এখন নীরব। পরিবারের লোকজন বাইরের কারও সঙ্গে দেখা করছে না, কথা বলছে না। ওই বাড়িতে রাসেলের বাবা-মা ও ছোট ভাই থাকেন।

রাসেলের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, রাসেল ২০১৮ সালে বিএসসি পাস করেছিলেন। এরপর আগের ইয়ারের এক পার্ট বাকি থাকাকালীন এ ঘটনা ঘটে। এই রায়ের পর আপিল করবেন কি না প্রশ্নে রাসেলের বাবা বলেন, এই মুহূর্তে আমি কিছু বলতে রাজি না। 

ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান বাবু বলেন, রাসেলের বাবা রুহুল আমিন একজন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য। তার দুই ছেলে। একজন রাসেল অপরজন আলামিন হাসান। আলামিন নবম শ্রেণিতে পড়ে। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রাসেল পড়াশুনা করার জন্য ঢাকা থাকত।

চেয়ারম্যান বলেন, আবরার হত্যা মামলার রায়ে আমরা খুশি। যদিও আমাদের এলাকার একটি ছেলে এতে আসামি হয়েছে। আজ তার ফাঁসির আদেশও হয়েছে। এটা আমাদের জন্য খারাপ লাগার বিষয়। তবে অন্যায় করলে সাজা তো পেতেই হবে।

জহির হোসেন/এসপি