সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে এক লাখ টাকা পকেটমারের ঘটনায় সংঘবদ্ধ চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক করেছে শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন।

আটকরা হলেন- মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার খলাগাঁও এলাকার রইছ মিয়ার ছেলে গাড়ি চালক সয়ফুল মিয়া (২৬), একই উপজেলার কদমহাটা এলাকার মৃত. আবদুল আহাদের ছেলে মো. সোহেল মিয়া (২৫), মৌলভীবাজার সদরের গির্জাপাড়া এলাকার মৃত মোবারক আলীর পুত্র রমজান আলী (৩০), সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জের ছত্রিশ এলাকার নওশাদ আলীর ছেলে মো. ছাবুল মিয়া (২৭) ও জকিগঞ্জের মৃত মিজান আলীর ছেলে শাহীন আহম্মেদ শেবুল (৫৪)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলেটের হুমায়ূন রশিদ চত্বর এলাকা থেকে নাসির মিয়া (৩৪) নামে এক যাত্রী ব্যবসার কাজে এক লাখ টাকাসহ গাড়িতে উঠেন। যাত্রাপথে ওই যাত্রী গোয়ালাবাজার এলাকায় এসে হঠাৎ প্যান্টের পকেটে হাত দিয়ে টাকা না পেয়ে গাড়িতে থাকা সব যাত্রীদের বিষয়টি অবগত করে। এতে কোনো সুরাহা না পেয়ে গাড়িটি শেরপুরে পৌঁছালে ডিউটিরত অবস্থায় শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন।

অভিযোগ পেয়ে তাৎক্ষণিক শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন ফোর্সসহ শ্যামলী পরিবহনের (ঢাকা মেট্টো: ব: ১১-৬৪৫২) গাড়িতে এক টিকেটে যাতায়াতকারী পাঁচ যাত্রীকে তল্লাশি চালিয়ে তাদের ব্যাগ থেকে এক লাখ টাকা উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশ তাদের আটক করা হয়।

শেরপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, শেরপুর মুক্তিযোদ্ধা চত্বরে ডিউটিকালীন সিলেট থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি গাড়ির ভেতর থেকে পকেটমার চক্রের পাঁচ সদস্যকে আটক ও এক লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এরা সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে। বাসে সহযাত্রীদের পকেট কাটাই তাদের পেশা। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

মাসুদ আহমদ রনি/আরআই