রংপুরের বদরগঞ্জে নদী পুনঃখননের সময় মাটির ভেতর থেকে মানুষের মাথার খুলি ও হাড় পাওয়া গেছে। তবে হাড়গুলো কত দিন আগের তা জানা যায়নি।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে চলা ঘৃনই নদীর নাওগাড়া এলাকা থেকে হাড়গুলো উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান জানান, আজ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে হাড়গুলো পাঠানো হবে।

এদিকে পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, সম্প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ড ঘৃনই নদীর পুনঃখনন কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে নাওগাড়া এলাকায় এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে খনন কাজ করার সময় মাটির নিচ থেকে মানুষের হাড় বেরিয়ে আসে। খবর পেয়ে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করে। তবে হাড়গুলো কত দিন আগের তা কেউ অনুমান করতে পারেননি। বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাড়গুলো উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

স্থানীয় কৃষি শ্রমিক বাবলু মিয়া বলেন, খনন কাজ চলা ঘৃনই নদী সংলগ্ন আলু ক্ষেতে নিড়ানি দিতে গিয়ে মানুষের মাথার খুলি, হাড় দেখতে পেলে এলাকাবাসীকে জানান দেন। তবে হাড়গুলো কত দিন আগের তা ধারণা করা যাচ্ছে না।

একই এলাকার আশরাফুল ইসলাম বলেন, নদীর কোলঘেঁষে কখনও কাউকে দাফন করতে দেখেনি। কিভাবে এখানে মানুষের হাড় এল এটাও ভেবে দেখার বিষয়। ওই জায়গাতে তো কবরস্থানও নেই।

উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন বলেন, এখনই উদ্ধার হওয়া হাড় সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না। স্থানীয়দের কেউ কেউ বলছে দুর্বৃত্তরা হয়তো কোনো মানুষকে হত্যার পর নদীর পাড়ে লাশ পুঁতে রেখে যায়। কারণ ওখানে কখনও এলাকার কাউকে কবর দেওয়া হয়নি। আবার কারও ধারণা, এগুলো হয়তো মুক্তিযুদ্ধের সময় পুঁতে রাখা হয়েছিল। 

বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। উদ্ধার হওয়া মাথার খুলি ও হাড়গুলো আজ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হবে। সেখানে ফরেনসিক বিভাগে এসব সংরক্ষিত থাকবে। তবে ভবিষ্যতে কেউ দাবি করলে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এসপি