বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সারোয়ার

‘৭ই মার্চের জ্বালাময়ী ভাষণটা দেন বঙ্গবন্ধু। তখন রেডিওতে ভাষণ শুনতাম। বন্ধুরা মিলে খুব উৎসাহ পেতাম তার বক্তৃতা শুনে। এই আন্দোলন-সংগ্রাম চলতে চলতে হঠাৎ ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হয়ে গেলেন। গ্রেফতার হওয়ার পরপরই ছাত্র-জনতা, পুলিশ, ইপিআরসহ সাহসী জনগণ প্রতিরোধযুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়।’

‘বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিরোধযুদ্ধ করতে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনসের দিকে ছুটে যাই। তখন আমাদের অস্ত্র ছিল লাঠি, বল্লম, ফালা ও ছুরি। আমরা যেতে যেতেই দেখতে পাই পাকিস্তানি সেনারা হেরে গেছেন। তাদের লাশ পড়ে আছে। সেখান থেকে কিছু সৈনিক পালিয়ে যায়। তারা ঝিনাইদহ হয়ে যশোরের দিকে যাচ্ছে।’

‘যাওয়ার সময় তারা সামনে যাকে পাচ্ছেন তাকেই হত্যা করছেন। বাড়িঘর পুড়িয়ে দিচ্ছেন। মেয়েদের ধরে নিয়ে যাচ্ছেন। পথিমধ্যে সদর উপজেলার বিষয়খালী বাজারে প্রতিরোধযুদ্ধের সম্মুখীন হয়। সেখানে ইপিআর, আনসারসহ কিছু সাধারণ মানুষ শহীদ হয়। তবে আমরা পালিয়ে যাওয়া পাকিস্তানি সৈনিকদের গ্রামে গ্রামে খুঁজে খুঁজে তাদের বল্লম দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারি। এটাই ছিল যুদ্ধের শুরু।’

এমনভাবে মুক্তিযুদ্ধের রোমহর্ষক কাহিনি ঢাকা পোস্টের এ প্রতিনিধিকে জানালেন বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সারোয়ার। তিনি বলেন, ১৯৭০ সালে গণতন্ত্রের জন্য দেশে ছাত্রজনতা আন্দোলন সংগ্রাম শুরু করে। সেই আন্দোলন-সংগ্রামের নেতৃত্ব দেন শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেকে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সারোয়ার বলেন, তখন আইয়ুব খান নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। সেই নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হন শেখ মুজিবুর রহমান। শেখ মুজিব জয়ী হবার পরও পাকিস্তানি সরকার তার হাতে ক্ষমতা না দিয়ে, দেশের মানুষের ওপর অত্যাচার শুরু করে। এরপর আমাদের দেশের ছাত্র-জনতা সঙ্গে নিয়ে শেখ মুজিব আন্দোলনমুখী হয়ে যান।

বিভিন্ন জায়গায় মিটিং করে বক্তৃতা দিয়ে জনগণকে উৎসাহ দেন। ৭ই মার্চের ভাষণ দেন। এরপর থেকে সারাদেশে আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়ে যায়। সেই আন্দোলন হয়, প্রতিরোধ আন্দোলন, অধিকার আদায়ের আন্দোলন। তখন পাকিস্তানি বাহিনী দেশের নিরীহ মানুষের ওপর হামলা শুরু করে। এরপর থেকেই যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের নেপথ্যে

বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সারোয়ার বলেন, ২৯ শে মার্চে কুষ্টিয়া প্রতিরোধযুদ্ধ করে বাড়ি ফিরে পরের দিন স্কুলে যাই, তখন আমরা বন্ধুরা শুনতে পাই- আমাদের হরিণাকুণ্ডুর ভবানীপুর গ্রামে বিহারী, রাজাকারদের সহযোগিতায় এলাকার পরিচিত লোক (ডাকাত দল) লুট করতে এসেছে। এরপর আমরা বন্ধুরা মিলে ভবানীপুর গ্রামে পৌঁছে যাই। তারা ডাকাতি করতে (ট্রাক) গাড়ি নিয়ে এসেছিল।

আমরা সেই গাড়ির টায়ার ব্লাস্ট করে দিই। যাতে তারা পালাতে না পারে। এরপর গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তাদের ধরি। তাদের মধ্যে বিহারী ও রাজাকাররা ছিল। সেখান থেকে তাদের মারপিট করে আটকে রাখি। মানুষের উপকার করার জন্যই মূলত আমরা সেখানে ছুটে গিয়েছিলাম।

তাদের উদ্ধার করেত পাকিস্তানি সৈনিকরা আসার আতঙ্কে রাতে আমাদের গুরুজনরা তাদের ছেড়ে দেয়। ওই ঘটনার দুই দিন পর বাড়িতে বসে সবার সঙ্গে ভাত খাচ্ছি এমন সময় আমার বড় ভাবি বললেন, গ্রামে গ্রামে পাকিস্তানি আর্মি ঢুকছে। যাকে পাচ্ছে মেরে ফেলছে। সবাই গ্রাম থেকে পালিয়ে যাচ্ছে।

এই কথা শুনে আমি আর আমার এক বন্ধু মিলে পাশের গ্রামের দিকে যাই পাকিস্তানি আর্মি দেখতে। তখন আমাদের সামনে ভবানীপুর গ্রামের দুইজন কৃষক লাঙল কাঁধে করে মাঠে যাচ্ছিল, তাদেরকে গুলি করে হত্যা করে এবং সামনে যা পায় তাই পুড়িয়ে দিতে থাকে। এই দেখে আমরা দৌড়ে বাড়িতে চলে আসি। এরপর আমরা ভাবতে থাকি এদের প্রতিরোধ করতে হলে আমাদের অস্ত্র দরকার।

অস্ত্রের সন্ধান করতে গিয়ে জানতে পারি, ভারত আমাদের অস্ত্র দিচ্ছে, প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, আমাদের সাহায্য করছে। তখন আমাদের দেশ থেকে শরণার্থীরা ভারতে যাচ্ছিল। আমরা তখন বাড়িতে না গিয়ে শরণার্থীদের সঙ্গে যোগ দেই। মূলত ২৫ মার্চে শেখ মুজিবকে আটকের পরে, আমাদের দেশে যে পাকিস্তানি আর্মি ছিল তারা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের হয়ে ঝিনাইদহ, যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন শহরে ঢুকে অত্যাচার শুরু করলে মানুষ ভারতে যেতে থাকে।

মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ

আমি তখন ছাত্র ছিলাম। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভায়না বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ি। পাকিস্তানি আর্মি এবং পাকিস্তানি শাসকরা আমাদের দেশটাকে জিম্মি করে রেখেছিল। আমাদের বাকস্বাধীনতাকে রুদ্ধ করে রেখেছিল। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু, মওলানা ভাসানীসহ অনেক নেতা স্বাধীনতা রক্ষার্থে তাদের সঙ্গে বিদ্রোহ করে। তখন তারা নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।

নির্বাচন হওয়ার পর বাংলাদেশে তথা পূর্ব পাকিস্তানে বঙ্গবন্ধু বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে তখন ক্ষমতা দেয়নি। তখন বঙ্গবন্ধুসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা আন্দোলন সংগ্রামের ডাক দেয়। এরমধ্যে পাকিস্তানি শাসকরা বাংলাদেশকে তারা দখলে নিয়ে নেয়। বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়ি, থানা, সেনাবাহিনী ক্যাম্প পাকিস্তানি সেনাবাহিনীরা দখলে নেয়।

তবে আমরা শেখ মুজিবকে ভোট দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেখতে চেয়েছিলাম; কিন্তু তারা তাকে সেই ক্ষমতা দেয়নি। তাকে ক্ষমতা না দিয় উল্টো ২৫ মার্চে আটক করে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকেই বাংলাদেশ প্রতিরোধযুদ্ধ শুরু হয়। ২৫ মার্চ রাত পর্যন্ত মানুষ কোনো ধরনের যুদ্ধে যায়নি, বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার পরপরই মানুষ প্রতিরোধযুদ্ধ, এরপরে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়।

মুক্তিবাহিনীতে যোগদান

শরণার্থীরা গরুর গাড়ি, মহিষের গাড়ি, ঘোড়ার গাড়িসহ হেঁটে যেতে থাকে। আমরাও তাদের সঙ্গে যাই। তাদের দু-একজন লোকের সাথে আমাদের পরিচয় হয়। আমরা ভারতের বর্ডার পার হয়ে শিকারপুর এলাকায় পৌঁছাই। সেখানে এক দোকানে বসে মাটির কাপে চা খাচ্ছিলাম। মাটির কাপে চা এবং মুড়ি দিয়েছিল। ওই চায়ের দোকানের পাশেই ছিল শিকারপুর আর্মি ক্যাম্প। তখন আমার বন্ধুকে ক্যাম্পে যাওয়ার কথা বলি। ওখানে গেলে অস্ত্রও পেতে পারি। তারপর আমরা ক্যাম্পে চলে যাই।

সেখানকার সেনারা খুবই আন্তরিক ছিল। আমাদের গোসল করে খাওয়া-দাওয়া করে নিতে বলেন তারা। তারা আমাদের চেনে না কিন্তু আমাদের খুব আদর যত্ন করতেন। তারা আমাদের দেশের সব কথা শুনে। এরপর সেখান থেকে একজন আর্মি অফিসার তাদের অর্ডার করল, ওই দুজনকে জুতা কাপড়সহ যা যা লাগবে দিয়ে দাও। তখন আমাদের নাম-ঠিকানা লিখে নেয় ও আমাদের একটা নাম্বার দেয়। ওই প্রথম শিকারপুর ক্যাম্পে আমি মুক্তিযুদ্ধে জন্য অংশগ্রহণ করলাম।

কার অধীনে কোথায় প্রশিক্ষণ

শিকারপুর ক্যাম্পে আমাদের দুই-তিন দিন ধরে পিটি প্যারেড করাল। এরপরে আমাদের অস্ত্রের প্রশিক্ষণ দিতে লাগল। আমাদের প্রথমে থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে বলে, এগুলো খুলো এবং লাগাও। এভাবে দু-তিন দিন যেতে লাগল। যুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছি সেই সময় দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য পুকুরে গোসল করতে যাই। হঠাৎ ক্যাপ্টেন হাফিস সাহেব গিয়ে হুইসেল দিতে থাকে। তখন সবাই দ্রুত ভেজা কাপড় পরেই তার সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে গেলাম। এরপর ওই লাইন থেকে এক এক করে বাছাই করতে লাগল। সেখানে ৩০ থেকে ৩৫ জনকে বাছাই করা হয়।

বাছাইয়ের পর বলে দৌড়ে গিয়ে গোলপোস্টের রড ছুয়ে আবার তাদের কাছে আসতে হবে। আমরা দৌড়ে গিয়ে সেই পিলার ছুয়ে আবার চলে আসি। তখন আমাদের বলে যার যে জিনিস আছে সবই গুছিয়ে নিয়ে গাড়িতে ওঠো। আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আমরা কিছু জানি না। শুধু জানি আমরা মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রশিক্ষণ নিচ্ছি, তৈরি হচ্ছি। ওখান থেকে আমাদের বনগাঁও ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে দেখি বিশাল এক সেনাবাহিনীর ক্যাম্প।

আমার ক্রমিক নম্বর ছিল ৫০৭৭। যা আমার বন্দুকেও লেখা ছিল। বনগাঁও ১ মাস প্রশিক্ষণ শেষ করে প্রথম অপারেশনে গেলেন লেফটেন্যান্ট মোমিনুল হক চৌধুরী। স্থানটি ছিল ময়মনসিংহ জেলার কামালপুর বর্ডার এলাকা।

আমাদের ক্যাম্প থেকে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন সাহেব বাছাই করা ৯ জন সৈনিককে নিয়ে প্রথম শত্রুদের এলাকা পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েছিল জামালপুর বর্ডার এলাকায় পাকিস্তানি ক্যাম্পে। রেকি করে ফেরার সময় দুজন পাকিস্তানি সেনাকে ধরে নিয়ে আসে।

আমাদের মনে সাহস ও উৎসাহ যোগাতে তাদের হাত উঁচু করে ধরে বেঁধে গুলি করে হত্যা করে। এর দুদিন পর আমাদের সিদ্ধান্ত হয় কামালপুর বর্ডার এলাকায় পাকিস্তানি ক্যাম্প আক্রমণ করা হবে। এরপর আমরা শত্রুদের অ্যাটাক করি। সামনের দিক থেকে অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করি। এরপর দেশ স্বাধীনের জন্য একে একে লাইন ধরে কামালপুর ক্যাম্প আক্রমণ করতে থাকি।

‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে আমরা যুদ্ধ করতে করতে সামনের দিকে ছুটলাম। পথের মধ্যে যেতে যেতে অর্ধেকপথ পেরোতেই তিন দিক থেকে শত্রুরা প্রতিরোধ শুরু করেছিল। সেখানে তারা ব্যাপকভাবে সৈন্য মোতায়ন করে রেখেছিল, কিন্তু আমরা সেটা জানতাম না। আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওখানে ঢোকার পর আমাদের ওপর তারা আক্রমণ করে। তখন আমাদের ওখানে ৭০ থেকে ৮০ জন সৈনিক শহীদ হয়। ওই যুদ্ধে ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন সাহেবও শহীদ হন।

যেসব স্থানে যুদ্ধ করা হয়

প্রথমে ময়মনসিংহ জেলার কামালপুর বর্ডার এলাকায়। এরপর ভারতের আমবাছা নামে একটা গারো পাহাড়ের এলাকায় ক্যাম্পে আমাদের নিয়ে আসা হয়। ওখানে আমরা ২ মাস ধরে প্রশিক্ষণ নিতে থাকি। এরপর ভারতের সীমানা থেকে পাহাড়ের কোলঘেঁষে জঙ্গল। আমরা লম্বা লাইন করে জঙ্গলের ভেতর ঢুকে পড়ি। সারাদিন হাঁটতে-হাঁটতে যাওয়ার পর আমরা বিকেলের দিকে সামনের দিক থেকে বিভিন্ন গোলাবারুদের শব্দ শুনতে পাই।

ওরা প্রথমে আমাদের ওপর আক্রমণ করে। পাকিস্তানি আর্মিরা জানতে পেরেছিল, ভারত থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল আসছে যুদ্ধ করার জন্য। তারা আমাদের প্রতিরোধ করলেই সামনা-সামনি যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। যুদ্ধ করতে করতে সামনের দিকে এগিয়ে যাই। পাকিস্তানি সেনারা পেছন দিকে পালাতে থাকে। এভাবে যুদ্ধ করতে করতে আমরা সিলেট শহর পর্যন্ত চলে যায় এবং বিপুল পরিমাণ পাকিস্তানি সেনা হত্যা করি।

আমার সাথে থাকা যে বন্ধুরা ছিল সবাই যুদ্ধে শহীদ হয়েছিল। আমরা একসঙ্গে হাইস্কুল থেকে ১৯ জন বন্ধু গিয়েছিলাম যুদ্ধে এবং বিভিন্ন স্কুল থেকে অনেক ছাত্র গিয়েছিল। তারা অনেকে যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। তিনি বলেন, ডিসেম্বরে যখন সিলেটের শায়েস্তাগঞ্জে এসে আমরা অস্ত্র পরিষ্কার করছিলাম। তখন দেখি আমাদের অফিসারদের সাথে পাকিস্তানি সেনারা আসছে। তারা সবাই সেনা অফিসার ছিল। তারা আত্মসমর্পণ করেছিল।

সরকারের প্রাপ্তি স্বীকার

আমরা প্রথমে এককালীন ২ হাজার টাকা করে সম্মানী পেয়েছিলাম। এরপর মাসে ৩০০ টাকা করে দিয়েছে। তারপর সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর ৫০০ টাকা হয়। আবার যখন সরকার পরিবর্তন হয় তখন ১ হাজার ৫০০ টাকা। ২ বছর পর ৩ হাজার টাকা হয়। এরপর ১০ হাজার টাকা সম্মানী দেওয়া হয়। সর্বশেষ বর্তমান সরকার ২০ হাজার টাকা সম্মানী দিচ্ছে। এখন দেশে আমাদের অনেক সম্মান।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের মাগুরাপাড়া গ্রামের মৃত কুবাদ আলীর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম সারোয়ার। তিনি ১৯৫৬ সালে কুষ্টিয়া জেলার কন্দোর্পদিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পড়াশুনা করেছেন ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু ভায়না মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে।

যুদ্ধকালীন তিনি নবম শ্রেণিতে পড়তেন। যুদ্ধ শুরুর হওয়ার পরপরই তিনি চলে আসেন সদর উপজেলার সাধুহাটি এলাকায়। যুদ্ধ শেষে তিনি বাড়িতে ফিরে এসে ১৯৮৩ সালে ওই ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। পাঁচবার তিনি ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

এমএসআর