শেরপুরের ঝিনাইগাতিতে নিখোঁজের ২০ দিন পর অটোরিকশা চালক হোসেন আলীর (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে র‌্যাব। মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার নওকুচি নকশি গ্রাম থেকে মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। 

নিহত হোসেন আলী শ্রীবরদি উপজেলার সেকদি গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে।

নিহতের ভাই আবুল কাশেম ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ২০ জুন আমার ভাই ৯৫ হাজার টাকা দিয়ে শ্রীবরদি থেকে একটি অটোরিকশা কেনে। এই অটোরিকশার আয় দিয়ে তার সংসার চলছিল। গত ২৬ নভেম্বর সকাল ৯টায় হোসেন তার অটোরিকশা নিয়ে বের হয়। রাত গভীর হলে সে বাড়িতে না ফেরায় আমরা খোঁজখবর নিতে থাকি। ওই সময় তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় পরদিন হোসেন আলীর অটোরিকশাটি ঝিনাইগাতি উপজেলার গারো পাহাড়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকার খবর পাই। এরপর আমরা ঝিনাইগাতি থানায় গিয়ে শনাক্ত হোসেনের অটোরিকশা করি। বাড়ি ফিরে আমরা শ্রীবরদি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। এরপর হোসেনের কোনো খবর না পাওয়ায় র‌্যাব-১৪ এর সঙ্গে যোগাযোগ করি। আজ র‌্যাবের মাধ্যমে জানতে পারি হোসেনের মরদেহ ঝিনাইগাতিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে র‌্যাব-১৪ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. রুকনুজ্জামান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা ঘটনাটির বিষয়ে চলতি মাসের ১০ তারিখে জানতে পারি। এরপর আমরা তার পরিবারের দেওয়া তথ্য নিয়ে তদন্ত শুরু করি। এরই সূত্র ধরে গতকাল রাতে (১৩ ডিসেম্বর) ঝিনাইগাতি উপজেলার নওকুচি নকশি গ্রামের সুমেলকে (৩০) আটক করি। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সুজনকে (৩২) আটক করি। 

দুজনকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারি- তাদের পরিকল্পনা ছিল অটোরিকশা ছিনতাই করা। কিন্তু ঘটনাক্রমে তারা হোসেন আলীকে সেখানে একটি কক্ষে শারীরিক নির্যাতন করে মেরে ফেলে। এরপর তারা রাতেই গারো পাহাড়ের গহীন জঙ্গলে হোসেনকে মাটি চাপা দেয়। পরদিন ভোরে সুমেল ও সুজন ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এরপর তারা অটোরিকশাটি বিক্রি না করতে পারলেও সেটির ব্যাটারিগুলো ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে। ব্যাটারি বিক্রির ১০ হাজার টাকা দুজনে সমান ভাগ করে নেয়। 

জাহিদুল খান সৌরভ/আরএআর