রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে হার মেনে নিতে পারেনি প্রতিপক্ষ। তারা নির্বাচিত ইউপি সদস্যসহ একে একে তিনজনকে হত্যা করেছে। আলোচিত এ হত্যা মামলায় অন্যতম আসামি শফিকুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর কেরানীপাড়ায় সিআইডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির পুলিশ সুপার আতাউর রহমান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে আজিজুল ইসলাম ইউপি মেম্বার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পরাজিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম ও তার ভাই শফিকুল ইসলামের সাথে বিরোধ তৈরি হয়। পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে বিজয়ী আজিজুল ইসলামকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।

চলতি বছরের গত ৬ এপ্রিল ইউপি সদস্য আজিজুল ইসলাম স্থানীয় আনন্দ বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে তার ওপর হামলা করা হয়। আজিজুল ইসলাম দৌড়ে পার্শ্ববর্তী মমিন আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিলে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে তাকে টেনেহিঁচড়ে বাইরে এনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে একই দিনে একই সময়ে সাইফুল ইসলামের আপন চাচাতো বড় ভাই রিয়াজুল ইসলামকে (৮৬) তার বাড়ি থেকে বাইরে করে এনে জবাই করে হত্যা করা হয়। এই দুটি হত্যাকাণ্ড দেখে ফেলায় অভিযুক্তরা নিহত আজিজুল ইসলামের ভাতিজি মোনালিসাকে ঘটনার ৪ মাস পর হত্যা করে। এগারো বছরের এই শিশুটিই ছিল এই দুই হত্যাকাণ্ডের প্রত্যক্ষ সাক্ষী।

সিআইডির এসপি জানান, আসামি শফিকুল ইসলামকে রংপুর নগরী থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। মামলায় বেশ কয়েকজন আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিনে রয়েছেন।

আতাউর রহমান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রংপুর সিআইডিকে মামলাগুলো তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত করতে গিয়ে আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলার আসামি হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশ নেয়া শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার দেওয়া তথ্যে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ১৩টি বল্লম, দুটি ছোড়া ও একটি হাঁসুয়া উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতার শফিকুল ইসলাম এই মামলার আরেক আসামি সাবেক ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলামের আপন ভাই।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরএআর