আমিনুল ইসলাম রাবেল

সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলের ওপর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। রাবেলের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) উচ্চ আদালত এ আদেশ দেন। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেন পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল।

তিনি জানান, বিচারপতি মো. খছরুরজ্জামান ও বিচারপতি মাহমুদুল হাসান তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তার মেয়র পদের ওপর বহিষ্কারাদেশ ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেন। এ আদেশের ফলে আমিনুল ইসলাম রাবেল গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদে পুনরায় বহাল থাকতে আর কোনো আইনি বাধা নেই।

রাবেলের পক্ষে আইনজীবী হিসেবে ছিলেন ব্যারিস্টার চৌধুরী মোর্শেদ কামাল টিপু। গত ৬ ডিসেম্বর সিলেটের গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেলকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

উপ-সচিব মোহাম্মদ ফারুক হোসেনের সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আমিনুল ইসলাম রাবেল ছুটি নিয়ে বিদেশে গিয়ে গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট ফোরাম আয়োজিত মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ সরকার, স্থানীয় সরকার বিভাগ ও রাষ্ট্রের জন্য হানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। তার এ ধরনের জনহানিকর বক্তব্য স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ এর (খ) ও (ঘ) এর অপরাধে মেয়রের পদ থেকে অপসারণযোগ্য অপরাধ।

যেহেতু আইন মোতাবেক যেক্ষেত্রে কোনো পৌরসভার মেয়র অথবা কোনো কাউন্সিলর অপসারণের কার্যক্রম আরম্ভ করা হয়েছে অথবা তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় অভিযোগপত্র আদালত থেকে গ্রহণ করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় মেয়র অথবা কাউন্সিলর কর্তৃক ক্ষমতা প্রয়োগ পৌরসভার স্বার্থের পরিপন্থী অথবা প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন না হলে, সরকার লিখিত আদেশের মাধ্যমে মেয়র অথবা কাউন্সিলরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারে।

এতে বলা হয়, যেহেতু আমিনুল ইসলাম রাবেল স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩২ উপ-ধারা ১(খ) ও ১(খ) মোতাবেক বাংলাদেশ সরকার এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের বিরুদ্ধে হানিকর ও জনহানিকর বক্তব্য দেওয়ায় তার এ অপরাধমূলক কার্যক্রম পৌর পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী মর্মে সরকার মনে করে, সেহেতু স্থানীয় সরকার আইন অনুযায়ী তাকে গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি লন্ডনে গ্রেটার সিলেট ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিল আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল বলেছেন, ‌আমরা মন্ত্রণালয়ে যাই। সচিবালয়ে সচিবদের সঙ্গে মিটিং করি, এলজিইডি মিনিস্টারের সঙ্গে মিটিং করি। তাদের কাছ থেকেই আমাদের ফান্ড আনতে হয়। ওখানে বিরাট একটা পার্সেন্টিজ দিয়ে আনতে হয়। আপনি ১০০ কোটি টাকার ফান্ড নিয়ে আসলেন। সেখানে ৫ পার্সেন্ট আগেই দিয়ে আসতে হয়।

মাসুদ আহমদ রনি/এমএসআর