গত কয়েকদিন ধরে সারাদেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাহাড়েও জেঁকে বসতে শুরু করেছে শীত। উত্তরের হিমেল হাওয়ার ঝলকানি পাহাড়ের বুকেও। পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে পৌষের শীতকে উপেক্ষা করে রাঙামাটি রানার্সের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। 

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) ভোরের আলো ফোটার আগেই বিভিন্ন এলাকা থেকে ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগিরা এসে সমবেত হতে থাকে পৌর প্রাঙ্গণে। জড়ো হয়েই ওয়ার্ম আপ সেশনে মনযোগী হন অনেক প্রতিযোগিই।

প্রতিযোড়িতা শুরু আগেই উদ্বোধনী বার্তা নিয়ে হাজির হন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। পরে বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার সূচনা করেন তিনি। পর্যটন শিল্পের বিকাশ, স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে রাঙামাটিতে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো হাফ ম্যারাথন প্রতিযোগিতা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কয়েকশ প্রতিযোগী এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করে।

ভোর ছয়টার কিছু পরেই পৌরসভা গেট থেকে শুরু হয় এই হাফ ম্যরাথন। শহরে দৃষ্টিনন্দন আঁকাবাঁকা পথ পাড়ি দিতে দিতে প্রতিযোগিরা উপভোগ করে বিশাল কাপ্তাই হ্রদের শান্ত নীল জল। কখনো সমতল, কখনো উচু-নিচু পথে দৌড়াতে থাকা প্রতিযোগিদের চোখে মুখে ছিল না কোনো ক্লান্তির ছাপ। ম্যারাথনে ১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার  দুই ইভেন্টে ২০০ প্রতিযোগী হ্রদ পাহাড়ের এই শহরের অলিগলিতে ছুটে চলে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ, স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত অংশগ্রহণকারীরা ম্যারাথনে অংশ নিয়ে উচ্ছ্বসিত।

ঢাকা থেকে আসা প্রতিযোগী দিলীপ রায় বলেন, আমি গত দশ বছরে এক কিলোমিটারও হাঁটি নাই। আর আজ আমি দশ কিলোমিটার দৌড়েছি। পাহাড়ি রাস্তায় এভাবে দৌড়াতে খুবই ভালো লাগছে। চেষ্টা করবো সামনের দিনগুলিতে প্রতিদিন সকালে উঠে যেন দৌড়াতে পারি।

রাঙামাটি মেডিসিন ক্লাবের সভাপতি তন্ময় চৌধুরী বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশে এবং স্তন ও জরায়ু মুখে ক্যান্সার প্রতিরোধে সচেনতা বৃদ্ধিতে এই ধরনের আয়োজন করা হয়েছে।

রাঙামাটি রানার্সের অ্যাডমিন ত্রিদিব বাহাদুর রায় বলেন, আমরা সচেতনতা সৃষ্টিতে এই আয়োজন করেছি। ভবিষ্যৎ সহযোহিতা পেলে প্রতিবছর এমন আয়োজন করতে চাই।

সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার বলেন, সংগঠনগুলি এভাবে পর্যটন এবং স্বাস্থ্য সচেতনতায় এগিয়ে আসলে সবাই উপকৃত হয়। ভবিষ্যতে এই ধরনের আয়োজনে পাশে থাকব।

মিশু মল্লিক/আরআই