সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও ইউটিউবার নাহিদ হেলালের বিরুদ্ধে যশোরের আদালতে মামলার আবেদন দাখিল করা হয়েছে। বিচারক অধিকতর শুনানির জন্য ২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ গফুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মঞ্জুরুল ইসলামের আদালতে এ মামলা করেন।

অ্যাডভোকেট এম এ গফুর বলেন, আদালতে মামলা দাখিল করেছি। বিচারক অধিকতর শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। অর্থাৎ আদালত মামলাটি গ্রহণও করেননি, আবার খারিজও করেননি।

মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর তথ্য প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ডা. মুরাদ হাসান ইউটিউবার নাহিদ হেলালকে এক সাক্ষাৎকার প্রদান করেন। এ সময় তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দৌহিত্রী জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন। তার বক্তব্য ও উপস্থাপকের আচরণ অশালীন, নারীবিদ্বেষী ও নারীর প্রতি অবমাননামূলক।

তাদের সেই সাক্ষাৎকার ইউটিউব ও ফেসবুকের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ে। এর মাধ্যমে জাইমা রহমানসহ জিয়া পরিবার ও নারী সমাজের জন্য অপমানজনক। এ জন্য শত্রুতা চরিতার্থ করতে নারী প্রতি বিদ্বেষপূর্ণ ও অবমাননাকর কাজ করার অপরাধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ব্যারিস্টার জাইমা রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) জ্যেষ্ঠ পুত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কন্যা। তার দাদি দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তার মা ডা. জোবাইদা রহমানের বাবা ছিলেন সাবেক নৌবাহিনীর প্রধান ও মন্ত্রী এবং চাচা ছিলেন বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী। 

ব্যারিস্টার জাইমান উপমহাদেশের প্রখ্যাত একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্যে আইন পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন। ফলে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসামীদ্বয় তার বিরুদ্ধে মানহানিকর, অপমানজনক বক্তব্যও ভিডিও ছেড়ে দিয়ে গর্হিত অপরাধ করেছেন।

জাহিদ হাসান/এনএ