ছোট একটি চুলাতে ইলিশ ভাজা হচ্ছে। পাশেই ইলিশভর্তি বাক্স। মাইকিং করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা হচ্ছে। সেই মাছ ভাজাকে কেন্দ্র করে পথচারীরা ঘিরে ধরেছেন। ফুটপাতে এভাবেই ইলিশ মাছ বিক্রি করছেন ভ্রাম্যমাণ এক বিক্রেতা।

বিক্রির আগে পথচারীসহ ক্রেতাদের মাছ ভেজে খাওয়ানো হচ্ছে। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা বাজারের কবরস্থান মোড়ে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, বাজারে মাইকিং করে মাছ বিক্রি করতে দেখি। কিন্তু মাছ বিক্রির সময় ভেজে খাওয়ানো জীবনে এই প্রথম দেখলাম। রাস্তার পাশে মাছ ভাজা দেখে পথচারীরা ভিড় জমাচ্ছেন। মাছ কেনার আগে কেউ কেউ খাচ্ছেন এবং কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে।

স্থানীয় সংবাদকর্মী রতন বিশ্বাস বলেন, মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ দেখতে পাই বিক্রেতা মাছ ভেজে খাওয়াচ্ছেন পথচারীদের। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার জন্য বিক্রেতার নতুন কৌশল এটা। তবে কৌশলটা আমার খুব ভালো লেগেছে।

সবুজ হোসেন নামে একজন ক্রেতা বলেন, আমার পরিবারের সব সদস্যের ইলিশ মাছ প্রিয়। এখানে এসে দেখছি মাছ বিক্রির আগেই স্বাদ জানাতে ভেজে খাওয়ানো হচ্ছে। আমিও খেলাম। ভালোই লেগেছে। তাই দুই কেজি মাছ কিনলাম। অনেকেই কিনছে মাছ। তার এই কৌশলটা আসলেই ভালো লেগেছে।

মাছ বিক্রেতা চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার কেদারগঞ্জ পাড়ার আশরাফুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, চার বছর ধরে চুয়াডাঙ্গাসহ বিভিন্ন জেলায় ইলিশ মাছ বিক্রি করে থাকি। মূলত আমি মাছ কেটে বিক্রি করি। মাছের পিস ৩০০ টাকা এবং লেজ, মাথা ও পিস ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করে থাকি। স্বাদ জানাতে মাছ বিক্রির সময় ক্রেতাদের ভেজে খাওয়ায়। কাছে গ্যাস, চুলা, ঝাল, হলুদ ও তেল  থাকে। যে এলাকায় মাছ বিক্রি করি সেই এলাকাতে আমার সহযোগীরা মাইকিং করে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার টাকার মাছ বেচা-কেনা হয়। লাভ ভালোই থাকে। 

আফজালুল হক/এসপি