কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে আওয়ামী লীগ নেতা রবি হত্যা মামলায় একমাত্র মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কামাল মিয়া (৬০) প্রায় আট বছর ফেরারি থাকার পর র‌্যাবের হাতে ধরা পড়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) ভোরে ভৈরব উপজেলার রসুলপুর গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। 

রাজনৈতিক বিরোধের জেরে ২০০৫ সালে খুন হন মাইজচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রবিউল্লাহ রবি। গ্রেফতার কামাল মিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বাজিতপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাইজচর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে ২০০৫ সালের ২৫ এপ্রিল বাজিতপুর শহরের বসন্তপুরে প্রতিপক্ষের লোকজন রবির হাত-পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ৫ মে রবি মারা যান। বাজিতপুর থানায় কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের বিএনপির তৎকালীন এমপি মজিবুর রহমান মঞ্জুর দুই ছেলেসহ ১৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন রবির স্ত্রী ফারবীন আক্তার। তদন্ত শেষে পুলিশ এমপির এক ছেলে ছাত্রদল নেতা মাহমুদুর রহমান উজ্জ্বলকে বাদ দিয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

পরে ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক এ বি এম সাজেদুর রহমান মামলার রায় দেন। রায়ে প্রধান আসামি কামাল মিয়াকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকি ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন আদালত। এরা হলেন- মাহবুবুর রহমান রুবেল, ‘ফ্রিডম’ সোহেল, রূপক, সাহেল মিয়া, দয়াল মিয়া, রানা সিকদার, মামুন মিয়া, নূরুল ইসলাম সুজিত, আনারস মিয়া, শাহীন মিয়া, আবুল মিয়া ও প্রকাশ মিয়া।

র‌্যাবের ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফীউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের  বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজই কামালকে বাজিতপুর থানায় হস্তান্তর করা হবে।

এসকে রাসেল/আরএআর