আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে ঝালকাঠি মিনি পার্ক
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় লাশ শনাক্তের জন্য রাখা হয়েছে ঝালকাঠী মিনি পার্কে। লাশ শনাক্তে স্বজনরা ভিড় করছেন। স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে আশপাশের পরিবেশ।
শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই লাশ উদ্ধারের পর ঝালকাঠি মিনি পার্কে এনে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল নৌ ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি লিডার হুমায়ুন কবির।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে দেখা যায়, সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার শুরু থেকেই ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও রেড ক্রিসেন্টের উদ্ধারকারী দল কাজ শুরু করে। তারা লাশ উদ্ধার করে ঝালকাঠী সিটি পার্কে নিয়ে আসার পরে ভিড় করে স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে পার্কের পরিবেশ। আস্তে আস্তে শনাক্ত হওয়ার পরেই লাশ নিচ্ছেন স্বজনরা। কিছু লাশ নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালের মর্গে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে ছেড়ে আসে। উদ্ধার হওয়া লঞ্চযাত্রীরা জানায়, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীর মাঝখানে পৌঁছালে হঠাৎ লঞ্চটিতে আগুন ধরে যায়। জীবন বাঁচাতে অনেকেই নদীতে লাফিয়ে সাঁতরে তীরে উঠেন। এ ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এদিকে সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চে আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধ ৭০ জনকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে তাদের ভর্তি করা হয়।আহতদের বেশিরভাগই ঝালকাঠি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেবাচিমের চিকিৎসক মো. আনিসুজ্জামান। তিনি জানান, ভর্তি রোগীদের মধ্যে সাতজন শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে ৩ শিশুকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত পুরুষ-নারী ও শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসার দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আহতদের বেশির ভাগেরই শরীরের বিভিন্ন স্থান দগ্ধ হয়েছে।
এমএসআর