কর্মস্থলের উদ্দেশে ১০ দিন আগে বের হয়ে নিঁখোজ পাবনার চাটমোহর উপজেলার সেই যমজ ভাইকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ১৫ ডিসেম্বর সকালে তারা নিঁখোজ হয়।

ওই দুই ভাই হলো চাটমোহরের মথুরাপুর ইউনিয়নের সারড়া গ্রামের তফিকুল ইসলামের ছেলে মো. তুশান ইসলাম (১৪) ও মো. ইশান ইসলাম (১৪)। 

থানা সূত্রে জানা গেছে, তুশান চাটমোহর বালুচর মাঠের পাশে শাহ আলমের রঙয়ের দোকানে কাজ করে। আর ইশান ভাদুনগর বাজারে মোটরসাইকেল গ্যারেজে কাজ করত। প্রতিদিনের মতো ১৫ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দোকানের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয় তারা। পরে তারা আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে রোববার (১৯ ডিসেম্বর) পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার।

পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানকে বিষয়টি জানানো হয়। থানা পুলিশ যমজ ভাই হারানোর বিষয়ে জিডি করার অনুমতি চাইলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জিডি করে নিখোঁজ দুই ভাইকে উদ্ধার করার নির্দেশ দেন।

পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সাধারণ ডায়েরি করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এসআইমঈনুল হোসেন মিলনকে নির্দেশ দেন। এসআই তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় জানতে পারেন, ভিকটিমরা ঢাকার শ্যামপুর থানা এলাকায় অবস্থান করছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশের ফোর্সসহ শুক্রবার শ্যামপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাজধানীর হোটেল সিটি প্যালেস থেকে তাদের উদ্ধার করে চাটমোহর থানায় পৌঁছে দেওয়া হয়।

নিখোঁজদের বাবা তফিকুল ইসলাম বলেন, ১৫ ডিসেম্বর সকালের খাবার খেয়ে কাজে বের হয় তুশান ও ইশান। রাতে তারা বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা পারিবারিকভাবে তাদের খোঁজখবর নিতে থাকি। এরপর অনেক জায়গায় খুঁজেও তাদের পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে আমরা পুরো পরিবার আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। পুলিশের সহযোগিতায় দুই ছেলেকে ফিরে পেয়েছি। তিনি পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।

চাটমোহর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ বিষয়ে থানায় নিখোঁজদের বাবা বাদী হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে দ্রুত বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছি। পুলিশ সুপারের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ায় যমজ ভাই কোনো চক্রের হাতে পড়ার আগেই আমরা উদ্ধার করি।

পাবনার পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় দুজনকে উদ্ধার করে পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

রাকিব হাসনাত/এসপি