রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে ব্যালট পেপার নিয়ে পালানোর চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে বন্ধ রাখা হয় ভোটগ্রহণ। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দুই ঘণ্টা পর সেখানে আবারও ভোটগ্রহণ শুরু হয়।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ৯টার দিকে মর্ণেয়া ইউনিয়নের তালপটি দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে (৮৪ নম্বর কেন্দ্র) এ ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আকতার হোসেন। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তালপটি দাখিল মাদরাসা কেন্দ্রে ভোটার ৮০০ জন। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। হঠাৎ ৯টার দিকে একজন ভোটার তিনটি ব্যালট পেপার নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় উপস্থিত লোকজন তাকে আটকানোর চেষ্টা করলে সেখানে হট্টগোল বেঁধে যায়।

একপর্যায়ে সেখানে ধস্তাধস্তিতে ১০-১২ জন আহত হন। একজন ভোটার তিনটি ব্যালট পেপার নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে সেখানে হট্টগোল শুরু হয়। এতে সাধারণ ভোটারসহ অন্তত ১০-১২ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হচ্ছে। 

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছেন। তবে ভোটার ছাড়াও উৎসুক জনতার ভিড়ে কিছুটা বেগ পেতে হয় তাদের। পরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ ও একজন ম্যাজিস্টেটের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।

এই ঘটনার পর ওই কেন্দ্রে প্রায় দুই ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল। পরে বেলা সোয়া ১১টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু করেন দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার আকতার হোসেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দ্র পরিদর্শনকালে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, সহিংসতার আশঙ্কায় ভোট বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ভোটগ্রহণ শুরু করা হয়। বর্তমানে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এদিকে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বদরগঞ্জ ও গঙ্গাচড়া উপজেলার ১৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১০১ জন প্রার্থী দলীয় ও বিভিন্ন প্রতীকে অংশ নিয়েছেন। এছাড়া সাধারণ সদস্য (পুরুষ) পদে ৭০৩ এবং সংরক্ষিত সদস্য (মহিলা) পদে ২৬৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

রংপুরের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ফরহাদ হোসেন জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ৩ জন পুলিশ ও ১৭ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ২০০ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ১ হাজার ১৬৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও ২ হাজার ৩৩২ জন পোলিং অফিসারও নিয়োগ করা হয়েছে।

এছাড়াও দুই উপজেলায় প্রয়োজনীয়সংখ্যক জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি র‌্যাব ও এপিবিএন সদস্যরা প্রতিটি ইউনিয়নে টহল দেবেন। এছাড়াও কোনো ঘটনার খবর পেলে যেন ১৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতে পারে সে জন্য স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করবে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমএসআর