আমার এজেন্টকে মারধর করা হয়েছে। আমার সমর্থক একটা ছেলেকে তিনবার মেরেছে আজ। ১১টি কেন্দ্রের সবগুলোতেই নৌকার সমর্থকরা নৈরাজ্য চালিয়েছে। ভোট শেষ হলে আমার কী হবে তা জানি না।

রোববার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে জুটন চন্দ্র দত্ত নামে এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ভোট বর্জন করে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার কুড়াইতলী বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। 

জুটন চন্দ্র দত্ত নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের কামরুল ইসলাম গাজী। 

আনারস ছাড়াও একই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোটরসাইকেল প্রতীকের কামরুজ্জামান খন্দকার এবং চশমা প্রতীকের মল্লিকা দত্তও ভোট বর্জন করেছেন। এই ইউনিয়নে মোট ছয়জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী জুটন চন্দ্র দত্ত অভিযোগ করে বলেন, আমার ইউনিয়নের ১১টি কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেন্দ্রে কোনো এজেন্ট দিতে পারিনি। নৌকার প্রার্থী ও তার এজেন্টরা হুমকি দিচ্ছে আমাকে মেরে ফেলবে। নৌকার প্রার্থী কামরুল ইসলাম নির্বাচনের আগে থেকে আমাকে এবং আমার কর্মীদের হুমকি দিচ্ছিল। তবুও আমার বিশ্বাস ছিল, নির্বাচনের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাহায্য করবে আমাকে। কিন্তু তা হয়নি। আজ আমার সমর্থকরা কেন্দ্রেই যেতে পারছে না। নৌকার সমর্থকরা প্রকাশ্যে সিল মারছে। মেম্বার প্রার্থীদের ভোট দিতে দিয়েছে, চেয়ারম্যানেরটা রেখে দিয়েছে তারা। সবকিছু মিলে আমি ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। 

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে দুপুর সোয়া ১টার দিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামরুল ইসলাম গাজীর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

পলাশ উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোসাম্মৎ জোবাইদা খাতুন বলেন, জিনারদী ইউনিয়নে তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোট বর্জন করেছেন বলে শুনেছি। তবে যেসব অনিয়মের অভিযোগ তারা তুলেছেন সেসব বিষয়ে কেন্দ্র থেকে আমরা এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি ।  

রাকিবুল ইসলাম/এসপি/জেএস