ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ নামক লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ পরিদর্শন করেছে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের তদন্ত দল। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে তদন্ত দলের সদস্যরা পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় বিভিন্ন প্রত্যক্ষদর্শীর সঙ্গে কথা বলেন।

নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এজেডএম জালাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত একপত্রে তদন্ত কমিটির প্রধান ইঞ্জিনিয়ার শিপ সার্ভে অ্যান্ড এক্সামিনার মো. আরাফাত হোসেনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের তদন্ত দল ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চটি ঘুরে দেখেন। পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। 

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন মেরিন সেফটির স্পেশাল অফিসার সৈয়দ মোরাদ আলী, অভ্যন্তরীণ জাহাজ পরিদর্শনালয়ের পরিদর্শক মিলন মোল্লা, আঞ্চলিক নৌযান রেজিস্ট্রেশন ও পরিদর্শন অফিসের পরিদর্শক রানা মোস্তফা।

মহাপরিচালকের পত্রে দুর্ঘটনার কারণ, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ, আইএসও’৭৬ যে সকল ধারা লঙ্ঘন করায় দুর্ঘটনার কারণ শনাক্তকরণ, দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি/সংস্থাকে শনাক্তকরণ, একই জাহাজ ইতোপূর্বে দুর্ঘটনায় পড়েছিলো কি না, দুর্ঘটনায় পড়ে থাকলে কী উপায়ে উদ্ধার এবং কীভাবে সচল করা হয়েছিল, ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা ঘটলে কীভাবে তা রোধ করা যায় তার সুপারিশসসহ ৩ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সৈয়দ মোরাদ আলী জানান, নৌ-পরিবহন অধিদফতর থেকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে। ৩ দিনের মধ্যে আমাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। আমরা তদন্ত করছি, সম্পন্ন হলে অধিদফতরে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। যেকোনো নৌ-দুর্ঘটনা ঘটলেই নৌ-আদালতে মামলা হয়। এখানের বিষয়েও একটি মামলা হয়েছে। তাই আমরা তদন্তে আসছি। 

উল্লেখ্য, গত ২৩ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে ঢাকা থেকে বরগুনার উদ্দেশে যাওয়া এমডি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে এবং নিখোঁজ রয়েছেন অর্ধশতাধিক।

এমএসআর