নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন করপোরেট ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে গেছে। এই ঠিকাদারি সিন্ডিকেটের পকেট ভারি করতে সিদ্ধিরগঞ্জের লাখ লাখ মানুষের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত করে দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে নাসিকের ৬ নং ওয়ার্ডের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী, শুমিলপাড়া, বিহারি কলোনী, নতুন বাজার, আইলপাড়া, এসওরোড, মন্ডলপাড়া, বাঘপাড়া, বার্মাশীল এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

তৈমুর বলেন,  সিদ্ধিরগঞ্জে একটি লেক আছে যেটি সড়ক ও জনপথের নিজস্ব জায়গা। এখানে এমআরটি প্রকল্পের আওতায় শিমরাইল-আদমজী ইপিজেড-হাজীগঞ্জ সড়কটি ঢাকা সার্কুলার এবং এমআরটি প্রকল্পের এলাইনমেন্টের আওতাভুক্ত। প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫৫ মিটার প্রশস্ততায় ফুটপাত, সার্ভিস লেনসহ ৮ লেনের সড়ক নির্মাণ হওয়ার কথা। অথচ বারবার সওজের নিষেধের পরও সেখানে লেক সৌন্দর্যের নামে প্রায় দেড়শ কোটি টাকার টেন্ডার দিয়েছে সিটি করপোরেশন। এই হটকারী সিদ্ধান্তের কারণে সিদ্ধিরগঞ্জবাসীকে ভবিষ্যতে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে চিরতরে বঞ্চিত করা হচ্ছে। 

তিনি আরও বলেন, ঠিকাদারি সিন্ডিকেট বন্ধ না করা পর্যন্ত অর্ধসমাপ্ত যত কাজ আছে সেগুলো সমাপ্ত হবে না। এটা পড়েই থাকবে। শহরের মন্ডলপাড়ায় ছোট একটি ব্রিজের কাজ করতে ৩ বছর লেগে গেছে। এ উন্নয়ন জনগণ চায় না। জনগণ এখন পরিবর্তন চায়। 

এদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের ৬নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ শেষে তৈমুর আলম খন্দকার নগরীর ১৫নং ওয়ার্ডে ডিআইটি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে তিনি মুসল্লিদের মাঝেও নিজের প্রতীক হাতি মার্কার  প্রচারণা চালান। তৈমুরকে কাছে পেয়ে শত শত মুসল্লি তার সঙ্গে গণসংযোগে যোগ দেন। 

বিকেলে তৈমুর আলম খন্দকার গণসংযোগ শুরু করেন নগরীর ১০ নং ওয়ার্ডে। সেখানে তিনি ওই ওয়ার্ডের বাগপাড়া, ২নং ঢাকেশ্বরী কটন মিলস, আরামবাগ, রসুলবাগ, মীরপাড়া, চিত্তরঞ্জন কটন মিল এলাকা, আজিম মার্কেট, পাঠানটুলী এলাকায় গণসংযোগ করেন। এ সময় দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও শত শত এলাকাবাসী তৈমুরকে স্বাগত জানান এবং গণসংযোগে অংশ নেন। 

গণসংযোগকালে তার সঙ্গে মহানগর যুবদল নেতা রানা মুজিব, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি অকিল উদ্দিন ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি এস এম  আসলামসহ স্থানীয় বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 রাজু আহমেদ/আরএআর