সুনামগঞ্জ পৌর শহরের বিভিন্ন সড়কে উন্নয়নমূলক সংস্কারকাজ চলছে। এসব কাজ শেষ হলে পৌর বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা আরও সহজ হবে। তবে এসব কাজ বাস্তবায়নকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে পৌর বাসিন্দাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। ভাঙাচোরা সড়কের উন্নয়ন ও সংস্কারকাজে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার আওতায় নিয়ে আসা হবে এমনটি প্রত্যাশা পৌর বাসিন্দাদের।

পৌর শহরের অন্যতম ব্যস্ততম কালিবাড়ি সড়ক। এই সড়কের পাশেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কালীমন্দিরের অবস্থান। এছাড়াও সদর হাসপাতাল ও কলেজ যেতে হলে এই সড়ক ব্যবহার করে সংশ্লিষ্টরা। এজন্য স্বাভাবিকভাবে যানের ধীরগতি দেখা যায় এখানে। 

সোমবার (০৩ জানুয়ারি) দুপুরে এই সড়কে হঠাৎ উন্নয়নকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আগে থেকে কোনো নোটিশ না থাকা ও সড়কে ট্রাফিকের কেউ না থাকায় যানজটের তৈরি হয়। এ সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে এই এলাকার বাসিন্দাদের। পরে ট্রাফিক পুলিশের হস্তক্ষেপে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

পৌর বাসিন্দারা বলছেন, উন্নয়ন ও সংস্কার একে অপরের হাত ধরে এগিয়ে যায়। এজন্য প্রয়োজন কাজের সমন্বয়। তবে সম্প্রতি এসব কাজ করা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কিছুটা সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। তারা নিজেদের লোকবল দিয়ে সড়কে যানের শৃঙ্খলা রাখতে কোনো উদ্যোগ নেয় না। কাজের আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে জানানোও হয় না। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।

বাসিন্দা চৌধুরী আহমেদ মুজতবা রাজী বলেন, এই সড়কগুলোতে একসঙ্গে কাজ শুরু হয়েছে। এজন্য উন্নয়নকাজের ফলে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। কোনো নোটিশ না দিয়েই হঠাৎ রাস্তা বন্ধ করে কাজ শুরু করে তারা। যে এলাকার রাস্তায় কাজ করা হবে আগে থেকে সে এলাকায় মাইকিং করা ও ট্রাফিক বিভাগকে জানানো হলে এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না আমাদের।

ট্রাফিক ইন্সেপেক্ট মো. মহিবুল ইসলাম বলেন, আমাদের মাঝে কাজের সমন্বয় থাকলে শহরের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সুন্দর থাকবে। ছোট এই শহরে আমরা যদি ট্রাফিক আইন মেনে চলি তাহলে সুন্দর থাকবে শহর। তাই সড়কে কাজ করার আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমাদের জানানো প্রয়োজন। আমাদের জানানো হলে ট্রাফিকে শৃঙ্খলা রাখা আমাদের জন্য সহজ হবে।

সুনামগঞ্জ পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মোশাররফ হোসেন বলেন, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য শহরে যেন কোনো যানজট না হয় সেজন্য আমরা চেষ্টা করছি। কয়েকদিন আগে ঠিকাদারের গাড়িতে সমস্যা ছিলো। মাটি সরাতে পারেনি। এজন্য দু-একটা জায়গায় কিছুটা সমস্যা হয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এ রকম আর হবে না।

সাইদুর রহমান আসাদ/এমএসআর