নরসিংদীর শিবপুরের বাঘাব ইউপির একটি কেন্দ্র দখল করতে ছয়টি বাস নিয়ে এসেছিলেন বহিরাগত শতাধিক ব্যক্তি। স্থানীয় ও বিভিন্ন প্রার্থীর লোকজন এ সময় উত্তেজিত হয়ে ওই ছয় বাসে ভাঙচুর চালায়। দুটি বাস পালিয়ে যেতে পারলেও চারটি বাস আটক করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (০৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঘাব ইউনিয়নের বাঘাব দারুল উলুম দাখিল মাদরাসাকেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে। তবে বাসগুলো ভর্তি করে কোনো প্রার্থী এসব বহিরাগতের ওই কেন্দ্রে নিয়ে এনেছিলেন তা এখনো জানা যায়নি। আজ সকাল ৮টা থেকে পঞ্চম ধাপে নরসিংদীর শিবপুর ও বেলাব উপজেলার ১৫টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ চলছে।

এই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট পাঁচজন প্রার্থী। তাদের মধ্যে নৌকা প্রতীকে জহুরুল হক জহির, মোটরসাইকেল প্রতীকে বর্তমান চেয়ারম্যান তরুণ মৃধা, আনারস প্রতীকে জাহিদ সরকার, চশমা প্রতীকে বশির আহমেদ বাবলু ও হাতপাখা প্রতীকে আজিজুল রহমান রয়েছেন।

ভোটার ও ওই ভোটকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ভোটগ্রহণ চলাকালে সকাল সাড়ে ১০টার সময় এই কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে বাসগুলো আসছিল। বাসগুলোর ভেতরে কমপক্ষে শতাধিক বহিরাগত ব্যক্তি ছিলেন। তারা কেন্দ্রের কাছাকাছি আসার পর তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেন এসেছেন তারা? কিন্তু তারা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

পরে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে উঠলে বাসগুলোর ভেতরে অবস্থান করা চালকসহ বহিরাগতরা বাস থেকে নেমে যে যার মতো করে পালিয়ে যান। পরে উত্তেজিত লোকজন বাসগুলোর জানালা ও সামনে-পেছনের কাচ ভাঙচুর করে।

এ সময় ২টি বাসের চালক বাস নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও বাকি চারটি বাস ঘিরে রাখেন স্থানীয় লোকজন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শ্যামল চন্দ্র বসাক ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই চারটি বাস আটক করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিনিয়র সহকারী কমিশনার শ্যামল চন্দ্র বসাক জানান, বাসগুলোতে অবস্থান করা বহিরাগতরা ওই কেন্দ্রটি দখলের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন বলে শুনেছি। তবে কে বা কারা এসব বাসে বহিরাগতদের নিয়ে এসেছেন তা এখনো জানা যায়নি। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
রাকিবুল ইসলাম/এমএসআর