নরসিংদীর শিবপুরের পুটিয়া ইউনিয়নের ভরতেরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বহিরাগত যুবকদের জালভোট দেওয়ার সময় পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। এ সময় বহিরাগতরা কিছু ব্যালট ছিনিয়ে নেয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। বুধবার (০৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৮টায় ভরতেরকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল গড়িয়ে দুপুর হতে না হতেই একদল বহিরাগত কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে। সেখানে তারা কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান করে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে সিল মারে।

এ পর্যন্ত কয়েক দফা এভাবে তারা সিল মেরেছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। এসব ঘটনায় তিনটি ব্যালট পেপারের বই ও দুইটি সিল ছিনিয়ে নিয়ে যায় বহিরাগতরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে প্রায় ১ ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থেকে আবার শুরু হয়।

সেখানকার সিল মারার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কয়েকজন যুবক কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান করে ব্যালটে অনবরত সিল মারছেন; যা স্পষ্ট দেখা গেলেও কোন মার্কায় সিল মারছেন তা বোঝা যায়নি। পরবর্তীতে, ব্যালটে নৌকা প্রতীকে সিল মারা দেখা গেছে।

অন্যদিকে, একই ইউনিয়নের মৌলভী তোফাজ্জল হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ে নৌকা ও আনারসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

পুটিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করছেন খন্দকার হাচান উল সানি এলিস, আনারস প্রতীকের সাইফুল ইসলাম, টেলিফোন প্রতীকের বিনয় কৃষ্ণ গোস্বামী, মোটরসাইকেল প্রতীকের শাহীন মোল্লা, ঘোড়া প্রতীকের নাজমুল কবির আনোয়ার ও হাতপাখা প্রতীকের আবদুর রহমান।

কেন্দ্রের দ্বায়িত্বরত প্রিসাইডিং অফিসার মো. সায়েম খান বলেন,  ভোট গণনার সময় ব্যালটের পেছনে থাকা আমাদের গোল সিল বা স্বাক্ষর না থাকলে সেসব ব্যালট বাতিল করা হবে।

রাকিবুল ইসলাম/এমএসআর